× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাপের ভয় নাসিরনগরে জমির ধানকাটাও বন্ধ

এক্সক্লুসিভ

জাবেদ রহিম বিজন ও আজিজুর রহমান চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়
২২ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

গোখরা সাপ আতঙ্কে ঘুম হারাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের এক বাড়ির অর্ধশত সদস্যের। আর আতঙ্কে গোটা উপজেলা সদরের হাজার পাঁচেক মানুষ। এমনকি সাপের ভয়ে বন্ধ রয়েছে জমির ধানকাটাও। এই অবস্থা চলছে গত ১৫ দিন ধরে। রাস্তায় বের হলেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাপের। এতে মানুষের চলাচলে চরম ভয় ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সদরের চারদিকে কার্বলিক এসিড ছিটানো হয়েছে। টানানো হয়েছে লাল পতাকা।
সাপ ধরার জন্য উপযুক্ত লোক খোঁজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয়দের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নাসিরনগর সদরের দত্তবাড়ির দালান ভাঙার ইটের স্তূপে সন্ধান পাওয়া যায় সাপের বাসার।
ওই বাড়ির এক সদস্য প্রতীক দত্ত জানান, তাদের বাড়ির সীমানায় জোড় পুকুরের মধ্যবর্তী রাস্তায় পুরনো ভাঙা ইট স্তূপাকারে রাখা হয়েছে। সেখানেই সাপের আস্তানা। তাদের একটি দালান ভাঙার পর ভাঙাচুরা ইটগুলো পুরাতন বাড়ি লাগোয়া পুকুর পাড়ে মজুত করে রাখা হয়। গত ৬ই নভেম্বর সকালে এক রাখাল গরু নিয়ে পুকুর পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় ইটের ওপর রোদে পড়েছিলো দুটি সাপ। এই সাপ দুটি মেরে ফেলে সে। এরপর আরও অনেকে সাপ দেখতে পান। এখন সেই সাপ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়ি থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে, এমনকি অনেক দূরের ধান ক্ষেতের মাঝখানে সাপ দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি প্রথমে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। এরপর প্রাণিসম্পদ অফিসকে জানালে তাদের লোকবলের অভাব, এই কাজ করার সুযোগ নেই বলে সটকে পড়ে। বন বিভাগের লোকজনকে ডাকা হলে তারাও পরিদর্শন করে একই কথা বলে। এরপর স্বেচ্ছায় সাপ ধরার একটি সংগঠনের সঙ্গে তাদের এবং প্রশাসনের যোগাযোগ হয়। স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের দু’সদস্য শাহজাহান ও হিমু গতকাল নাসিরনগর আসেন। তাদের বাড়ি বগুড়া ও রংপুরে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন জানান- তিনি বিষয়টি জানার পর ফরেস্টারের মাধ্যমে হবিগঞ্জের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাদের টিম আসে। তারা জানায়, সাপগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে তারা সেগুলো ধরতে পারবে না। ধরিয়ে দিলে সংরক্ষণ করতে পারবে। এরপর আমরা স্থানীয় সাপুড়েদের সঙ্গে কথা বলি। আসলে এই পেশাটা এখন বিলীন হয়ে গেছে। এখন আর কেউ সাপ ধরার পথে নেই। তারপর আমরা দক্ষ সাপুড়ের সন্ধান করতে শুরু করি। প্রাথমিকভাবে কার্বলিক এসিড দেয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং সাপগুলো যাতে ছড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য কারেন্ট জাল দিয়ে জায়গাটিতে বেষ্টনী দেয়া হয়েছে। সতর্কীকরণ হিসেবে সাধারণ মানুষকে ওইদিক দিয়ে চলাচল না করতে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সাপ নিধনের কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় দূর হয়নি আতঙ্ক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর