× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চমেক থেকে ছাত্রলীগের ৩১ নেতাকর্মী বহিষ্কার

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ নভেম্বর ২০২১, বুধবার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)-এ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২৭শে নভেম্বর থেকে কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিষ্কৃতরা সবাই ছাত্রলীগের কলেজ শাখার নেতাকর্মী। এদের অধিকাংশ উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের অনুসারী। মঙ্গলবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা যায়, কলেজে সর্বশেষ ৩০শে অক্টোবর সংঘটিত দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ডা. মতিয়ার রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ২২ দিন পর সোমবার প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়। এতে সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ জনকে ২ বছর, ২ জনকে দেড় বছর ও বাকি ২১ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
আর অভিযুক্ত তালিকায় থাকা সত্ত্বেও ঘটনার সময় আহত মাহাদি আকিব, রক্তিম দে ও এনামুল হোসেন ওরফে সীমান্তের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
জানা যায়, কাউন্সিলের বৈঠকে আগামী ২৭শে নভেম্বর থেকে কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজে সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্র হোস্টেলের সকল সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তার মানবজমিনকে বলেন, ‘মেডিকেল কলেজে সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছিলাম। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী আজকে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়। বৈঠকে মোট ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরমধ্যে একজনের ইন্টার্নিশিপ শেষের দিকে থাকায় বহিষ্কারের আওতায় থাকছে না। আর আগামী ২৭শে নভেম্বর থেকে কলেজ খোলারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩০শে অক্টোবর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চমেক ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের বিবদমান নাসির ও নওফেল দুই গ্রুপ। এতে উভয়পক্ষের ৩ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়। এরমধ্যে মাহাদি জে আকিব নামে একজনের অবস্থা আশংকাজনক ছিল। তার ‘মাথার হাড় নেই চাপ দিবেন না’ লেখা ব্যান্ডেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঘটনার দিন কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর এই ঘটনা নিয়ে মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর