আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও জামিন পেয়েছেন। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার এ জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএইচএম শফিকুল ইসলাম মোল্লা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নামে থাকা সবগুলোতেই জামিন পেলেন। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইলো না। তিনি বলেন, গত ২১শে সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে গুলশান থানার মাদক মামলা ও পল্লবী থানার প্রতারণার মামলায় জামিন পান হেলেনা জাহাঙ্গীর। এর আগে গত ১৭ই আগস্ট পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হেলেনাকে জামিন দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
গত ২৯শে জুলাই গুলশানের বাসা থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে আলাদা ৪ মামলায় তাকে ১৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এফবিসিসিআই’র পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার এবং জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন। নিজেকে তিনি আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগেরও উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন তিনি। আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সভাপতি হওয়ার খবর চাউর হলে জুলাই মাসে তাকে দুই কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সবশেষ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন হেলেনা।