× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা / বিএনপি’র সাবেক এমপি মোমিনের ফাঁসির রায়

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

সাবেক এমপি আব্দুল মোমিন তালুকদার ওরফে খোকাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন মামলাটির শুনানি করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল হাসান।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, আব্দুল মোমিন তালুকদারের বিরুদ্ধে ৩টি অভিযোগ ছিল। এই ৩ অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩রা মে এ মামলার তদন্ত শেষ করে প্রসিকিউশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একাত্তরে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ ১৯ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে বগুড়া আদমদিঘী থানার কালাইকুড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদ তালুকদারের ছেলে আব্দুল মোমিন তালুকদারের বিরুদ্ধে। ৩টি অভিযোগে তদন্ত হয়েছে।
১৯৭১ সালে মোমিন তালুকদার ছিলেন মুসলিম লীগের কর্মী। কিন্তু পাকিস্তান দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করতে তিনি সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। আদমদিঘী থানার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে তিনি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। পরে আদমদিঘী উপজেলা বিএনপির সভাপতি হন। মোমিন তালুকদার বর্তমানে বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। মোমিন ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
 যে ৩ অভিযোগ প্রমাণে মৃত্যুদণ্ড: ১৯৭১ সালের ২২শে এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে আসামি আব্দুল মোমিন তালুকদারসহ ৫ থেকে ৬ জন স্বাধীনতা বিরোধী ও ২০ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে নিয়ে বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার কলসা বাজার, রথবাড়ী এবং তিয়রপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা করতে অপারেশন চালান। ওইদিন আসামি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কলসা গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলাম উদ্দিন প্রামাণিকসহ হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করেন। তার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ ১৯৭১ সালের ২২শে এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে আব্দুল মোমিন তালুকদারসহ ৫ থেকে ৬ জন স্বাধীনতা বিরোধী ও ২০ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে নিয়ে আদমদিঘী থানার কলসা বাজার, রথবাড়ী এবং তিয়রপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা করতে অপারেশন চালান। ওইদিন আসামি নিজে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কলসা গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলাম উদ্দিন প্রামাণিকসহ হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করেন। এছাড়া, মোমেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় অভিযোগটি হলো  ১৯৭১ সালের ২৪শে অক্টোবর থেকে ২৭শে অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে একই থানার কাশিমালা গ্রামের ১৬ থেকে ১৭টি বাড়ি লুট করেন মোমিন। সেদিন ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া, ১৯৭১ সালের ২৫শে অক্টোবর রাতে আব্দুল মোমিন তালুকদার রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নিয়ে আদমদিঘী থানার তালশন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে হত্যা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর