ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় নৌকা ও লাঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিদেশি অস্ত্রসহ লাঙ্গলের এক সমর্থককে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়নগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না ও সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম মাকসুদ ভূঁইয়া তার নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। বস্তল এলাকায় আসলে নৌকা সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাকসুদের গাড়ির পথরোধ করে। এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার নেতাকর্মীদের আহত করে। তারা মাকসুদের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এসময় নৌকার প্রার্থী হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে গেলে তার নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মাকসুদ ভূঁইয়ার সমর্থকরা গুলি চালায়। পরে হুমায়ুনের সঙ্গে থাকা ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মাকসুদ আলমের সমর্থকদের ওপর ফের হামলা চালালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অস্ত্রধারীসহ উভয়পক্ষের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এদিকে, খবর পেয়ে মাকসুদ আলমের লোকজন পাকুন্ডা এলাকায় নৌকার কয়েকটি ক্যাম্প ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী হুমায়ুন কবির জানান, সাইদুর মার্কেটের সামনে গণসংযোগকালে একজন অস্ত্রধারী আমাকে পিস্তল তাক করে গুলি করার সময় এলাকাবাসী দেখে ফেলে। তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। অপরদিকে বস্তল এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মাকসুদের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮-১০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অস্ত্রধারী পারভেজকে মুমূর্ষ অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, দুই প্রার্থীর নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জামপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।