এই বছরের আলোচিত চলচ্চিত্রের মাঝে অন্যতম ‘নোনা জলের কাব্য’ গতকাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ঢাকা শহরে ছবিটি প্রদর্শিত হচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স-এর সকল শাখায়, শ্যামলী সিনেমা ও ব্লকবাস্টার মুভিজ-এ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সিনেমাস্কোপ, চট্টগ্রামের সিলভারস্ক্রিন ও সুগন্ধা সিনেমা এবং বগুড়ার মধুবন- এসব প্রেক্ষাগৃহেও ছবিটি প্রদর্শিত হচ্ছে। ২৫শে নভেম্বর, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ-এ সংবাদ মাধ্যম এর সদস্যদের জন্য ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। টিভি, প্রিন্ট, অনলাইন ও অন্যান্য মাধ্যমের সাংবাদিক ও অন্যান্য সদস্যরা এই প্রদর্শনীতে যোগ দেন। ছবির পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, অভিনেত্রী তাসনুভা তামান্না ও অন্যান্য কলাকুশলীরা প্রদর্শনীর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। একইদিনে রাত ৮টায়, স্টার সিনেপ্লেক্স এর এসকেএস টাওয়ার শাখায় ছবিটির গালা প্রিমিয়ার আয়োজিত হয়। বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, আলমগীর, সাহিত্যিক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী কে এম খালিদ, পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ছবির কলাকুশলীসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
দীর্ঘ ৭ বছরের যাত্রা শেষে মুক্তি পেলো পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত এর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’। তিনি বলেন, নোনা জলের কাব্য- আমার সত্তার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমি নিজে এই ছবির নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে আরও পরিপক্ক হয়ে উঠেছি। বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবিটি যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি আমরা পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে ৩টি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলাম যার প্রত্যেকটি সফল হয়েছে। নোনা জলের কাব্য- জেলেদের নিয়ে নির্মিত ছবি, তাই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের আগে তারাই এটি সবার আগে দেখেছে। ‘নোনা জলের কাব্য’ ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। এই ছবির পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স।