সব ইংলিশ সংবাদমাধ্যমই ঘোষণা করে দিয়েছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ হতে চলেছেন রালফ রাংনিক। দ্য অ্যাথলেটিক, বিবিসি, স্কাই স্পোর্টস, ইএসপিএন, গোলডটকম-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলো দিয়েছে রাংনিকের ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার কথা। এই জার্মান কোচ ইংলিশ ফুটবলে আসতে চলায় চিন্তিত লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আরেকজন দারুণ কোচ ইংল্যান্ডে আসছেন। যা অন্য কোচদের জন্য ভালো খবর নয়।’
৬ মাসের জন্য ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন রাংনিক। অথচ গত জানুয়ারিতে রাংনিককে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের প্রস্তাব দিয়েছিল চেলসি। তখন রাংনিক বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড় ও মিডিয়ার কাছে আমি কেবল চার মাসের কোচ বলে বিবেচিত হবো। যেটা আমার পছন্দ নয়’।
রেড ডেভিলদের ডাগআউটেও তিনি থাকবেন ৬ মাস। রাংনিক ম্যানইউর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন এক শর্তে। সেই শর্ত হলো, মৌসুম শেষে ইউনাইটেডের ‘ফুটবল পরিচালনা’ সম্পর্কিত পদে বসাতে হবে তাকে। যেখানে তার দায়িত্ব থাকবে খেলোয়াড় কেনা-বেচা থেকে শুরু করে কোচ নিয়োগ পর্যন্ত। রাংনিকের এমন শর্তে রাজি ম্যানইউ। এই ফুটবল পরিচালনা পদে বেশ সফল রাংনিক। আরবি লাইপজিগে অবদানের কারণে বেশি আলোচিত তিনি। ২০১২ সালে শক্তিবর্ধক পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেড বুল রেড বুল সালজবুর্গ ও আরবি লাইপজিগের মালিকানা কিনে নেয়। দুই ক্লাবেরই ফুটবল পরিচালক ছিলেন রাংনিক। ছয় বছরের মধ্যে লাইপজিগকে চতুর্থ বিভাগ থেকে জার্মানির শীর্ষ লীগে তুলে আনেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালেও খেলে লাইপজিগ। আর সালজবুর্গ জেতে অস্ট্রিয়ান লীগের শিরোপা। মাত্র ২৫ বছর বয়সে কোচিং পেশায় নাম লেখানো রাংনিক দুই মৌসুম কোচিং করিয়েছেন লাইপজিগকে। দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে রাংনিক ডাগআউট সামলেছেন স্টুটগার্ড, শালকে, হফেনহেইমের মতো ক্লাবের। কোচ রাংনিকের সাফল্যের চেয়ে কৌশলই বেশি আলোচিত। তার ‘হাই প্রেসিং’ কৌশলের আধুনিক সংস্করণ ‘জেজেনপ্রেসিং’-এর উদ্ভাবক তিনি। তার এই কৌশলেই সাফল্যের পথে হেঁটেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ, টমাস টুখেলরা।