করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে সারাবিশ্বে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমপক্ষে ৫০ রকম রূপান্তর রয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টের। একই সঙ্গে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, ভারতেও ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন। এমন এক পরিস্থিতিতে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে বসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। এতে দেশে টিকা প্রয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
বিজ্ঞানীদের অনেকে একে লাল তালিকাভুক্ত করেছেন।
এতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্ট প্রচলিত টিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে। এ কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরো অধিক ভয়াবহ লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। এতে বলা হয়, এ সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বোতসোয়ানা, হংকং, ইসরাইল এবং বেলজিয়ামেও। এর আছে কমপক্ষে ৫০ রকম রূপান্তর।
এর মধ্যে কমপক্ষে ৩০টিতে আছে স্পাইক প্রোটিনের রূপান্তর। বি.১.১.৫২৯ নামের এই ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর নামকরণ করেছে ওমিক্রন। ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হলো উচ্চ মাত্রায় উদ্বেগ সৃষ্টিকারী শ্রেণি বা ক্যাটেগরি। এ তালিকায় আছে ডেল্টা, আলফা, বেটা, গামা ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু আগের এসব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন বেশি ভয়ঙ্কর বলে ইঙ্গিত মিলছে। এ জন্য ভারত সরকার শুক্রবার দিবাগত রাতে বলেছে, আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট ভারতে অবতরণ ও ভারত ছেড়ে যেতে পারবে স্বাভাবিকভাবে।
তবে যেসব দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে তারা পারবে না। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকা, বোতসোয়ানা, ইসরাইল এবং হংকংকে এই তালিকায় রাখা হয়। এর অর্থ হলো পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত শতকরা মাত্র ৭৫ ভাগ যাত্রাবাহী ফ্লাইট পরিচালিত হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বোতসোয়ানা ও হংকং থেকে যাওয়া যাত্রীদের কড়াকড়িভাবে স্ক্রিনিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সম্প্রতি ভিসা বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে, খুলে দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ। ফলে এই ভ্যারিয়েন্ট জনস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করেছে।