× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করলো বৃটিশ পার্লামেন্ট

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) নভেম্বর ২৭, ২০২১, শনিবার, ৪:১০ অপরাহ্ন

ফিলিস্তিনের যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসকে শুক্রবার সন্ত্রাসী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছে বৃটিশ পার্লামেন্ট। একে ইহুদি বিরোধিতা বা এন্টিসেমিটিজম বিরোধী পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃটেনের এমন উদ্যোগে ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের আঞ্চলিক শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করেছে হামাস। এর আগে গত সপ্তাহে বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কার্যত এর মধ্য দিয়ে এই গ্রুপটি নিষিদ্ধ হবে। এ খবর দিয়েছে ইসরাইলের অনলাইন হারেৎজ। এতে বলা হয়েছে বৃটেনের টেরোরিজম অ্যাক্টের অধীনে হামাসকে কেউ সমর্থন দিলে, তাদের পতাকা উড়ালে, তাদের পক্ষে কোনো সংগঠনের মিটিং করলে তাকে ১০ বছর পর্যন্ত জেল ভোগ করতে হতে পারে।
উল্লেখ্য, এবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
তিনি হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানোর পর এমন উদ্যোগ নিয়েছে বৃটেন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন বৃটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। তিনি বলেন, বৃটেনে এন্টিসেমিটিজমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, হামাস হলো মৌলিকভাবেই এস্টিসেমিটিক। এন্টিসেমিটিজম এমন একটি শত্রুতা, যা আমি কখনোই সহ্য করবো না। স্কুল, রাস্তা, এমনকি উপাসনালয়, বাড়িতে, অনলাইনে ইহুদিরা নিরাপদ মনে করছেন না নিজেদের।
এর আগে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল কাসেম ব্রিগেডসকে সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বৃটেন। কিন্তু পুরো সংগঠনকে অর্থাৎ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং কানাডার সঙ্গে যুক্ত হলো বৃটেনও। বৃটেনের পার্লামেন্টের এমন সিদ্ধান্তের জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট টুইটে বলেছেন, হামাস হলো একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এর বাইরে আর কিছু নয়। এর রাজনৈতিক শাখা সামরিক শাখাকে সক্রিয় রেখেছে। তারাও একইভাবে সন্ত্রাসী। পার্থক্য তারা শুধু স্যুট পরেন। এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বন্ধু বরিস জনসন ও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করি।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, দুই দেশের নেতারা ইসরাইল এবং বৃটেনের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এক্ষেত্রে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিতে অন্য বিশ্ব শক্তিকে এরই মধ্যে চাপ দিচ্ছে বৃটেন। জবাবে হামাস বলেছে, বৃটেন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ইসরাইলের প্রতি পক্ষপাতী। শুক্রবার তারা এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। হামাসের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিবর্তে বেলফোর ডিক্লারেশনের অধীনে ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যেকোনো অবস্থায় দখলের অধীনে থাকা যেকোনো মানুষের অধিকারের পক্ষে থাকা উচিত। ইসরাইল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। তারা ফিলিস্তিদের হত্যা করছে। তাদের বিরুদ্ধে হামলা করছে। বৃটেন ও জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেয়া বন্ধ করতে হবে। ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন নগ্নভাবে লঙ্ঘন করছে। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
বৃটেনে অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাসও বৃটিশ পার্লামেন্টের ওই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে। বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপে শান্তি প্রতিষ্ঠা আরো কঠোর হয়ে যাবে এবং বৃটেনের ভূমিকা খর্ব হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর