করোনা মহামারির প্রকোপ কমে আসায় নতুন স্বাভাবিকতায় ফিরেছে ক্রিকেটাঙ্গন। নিয়মিতই মাঠে গড়াচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। ক্রিকেটের বিশ্ব আসরও মঞ্চস্থ হয়েছে এরমধ্যে। ফ্র্যাঞ্চইজি ক্রিকেটের আসরও মাঠে গড়াচ্ছে সময়মতো। এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’। যার উৎপত্তিস্থল আফ্রিকা মহাদেশ। নতুন ধরনের প্রকোপে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কথা ভারতের।
রংধনুর দেশে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় শঙ্কা জেগেছে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে নেদারল্যান্ডস। করোনার প্রকোপে প্রথমে সিরিজটি স্থগিত করতে চেয়েছিল দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। সব শঙ্কা পেছনে ফেলে শুক্রবার রাতে মাঠে গড়ায় প্রথম ওয়ানডে। তবে বৃষ্টি বাধায় ভেসে গেছে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এখন সিরিজের বাকি ম্যাচ নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লীগের অংশ হওয়ায় ম্যাচ দুটির গুরুত্ব রয়েছে। ফ্লাইট সূচি না থাকায় আবার দেশে ফেরার বিমান ধরতে পারছে না ডাচরা। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে তটি করে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলবে বিরাট কোহলি দল। মোট ৪১ দিনের সফরে ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও রয়েছে। ২৬শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার ছক কষছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএ)।
তবে কোহলি-রোহিতদের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর হওয়া নিয়ে বসে গেছে প্রশ্নবোধক চিহ্ন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানিয়েছে, ভারতীয় দলের দক্ষিণ সফরের জন্য অনুমতি লাগবে ভারত সরকারের। এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছে ভারত। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হবে ৭ই ডিসেম্বর। মুম্বই থেকে জোহানেসবার্গের বিমান ধরবে ভারতীয় দল। বায়ো-বাবলে থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।