প্রতি বছর ফেডারেশন কাপ দিয়ে মৌসুম শুরু হলেও এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে মৌসুমের শুরুতেই আয়োজন করা হচ্ছে স্বাধীনতা কাপ। এই আসরের মধ্যদিয়ে ২ মাস ৭ দিন বিরতির পর মাঠে ফিরলো ফুটবল। তবে ঘাসের মাঠে নয়, টার্ফে। টার্ফে খেলার অনভ্যস্ততার কারণে ফুটবলের স্বাভাবিক গতি হলো ব্যাহত। জমলো না ম্যাচ। অচেনা টার্ফে কিছুটা মানিয়ে নিয়ে স্বাধীনতা কাপে ঠিকই জয়ে শুরু পেলো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। গতকাল কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল। দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলটি করেন মান্নাফ রাব্বী।
কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফ ঝুঁকিপূর্ণ।
এই টার্ফে ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি নিজেদের ইনজুরি মুক্ত রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মাঠে প্রথমার্ধের সুযোগ তৈরি করতে পারে কেবল শেখ রাসেলই, কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল পায়নি ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ীরা। চতুর্দশ মিনিটে সাদউদ্দিনের বাড়ানো বলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এইলতন ডি সৌজা মাথা ছোঁয়ালেও তা পোস্টের বেশ বাইরে যায়। ৩৩তম মিনিটে দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন মোহাম্মদ জুয়েল। ডান দিকে সাদউদ্দিনের কাট ব্যাক ধরে ক্রস বাড়ান রাব্বী। বক্সের মধ্যে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি জুয়েল। সামনে তখন ছিল কেবল গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম খান। বিরতির বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে দি সৌজার পাস ধরে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন রাব্বী। ৫৮তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরায় শেখ রাসেলের। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ ওঠা পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ইসমাইল রুতি দি সিলভার চিপ শট ছিল জালের দিকেই। দুই ডিফেন্ডার পিছু নেন বলের, পোস্ট ছেড়ে কিছুটা বেরিয়ে এসেছিলেন সাইফুলও। রাব্বী টোকায় আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন বল। শেষদিকে সাইফুলের দৃঢ়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। বাঁ দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠা আলিসনের শট ফেরানোর পর রুতির ফিরতি শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বারিধারা গোলরক্ষক। নতুন সূচী অনুযায়ী আজ ‘সি’ গ্রুপের দুটি ম্যাচ হবে। বিকাল ৪টায় মোহামেডান খেলবে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে। পরের ম্যাচে সন্ধ্যা ৬টায় সাইফ স্পোর্টিং খেলবে বাংলাদেশ আর্মির বিপক্ষে।
শেখ জামালের বড় জয়
বড় জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করলো শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। গতকাল কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে ৩-০ গোলে হারায় তারা। ম্যাচের ১৮ মিনিটে ওটাবেগের গোলে লীড পায় শেখ জামাল। ৫২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জামালের অধিনায়ক সলোমন কিং। এর দুই মিনিট পরেই সোহানুর রহমান গোল করলে ৩-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় ধানমন্ডির দলটির।