করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কে বিদেশি ভ্রমণকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরাইল। ১৪ দিন পর্যন্ত আপাতত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদনের পর রোববার মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর ইসরাইলে এখন পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে কমপক্ষে একজনের আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট নিশ্চিত করা হয়েছে। এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ও প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বহু দেশ।
প্রথম এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার পর তাদেরকে প্রশংসা না জানিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়াকে শাস্তি হিসেবে অভিহিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরই মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে সতর্কতা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে এই ভ্যারিয়েন্ট করোনা ভাইরাসের অন্য যেকোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক।
তবে দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলেছে, ওইসব দেশের উচিত ছিল বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ নেয়া।
শনিবার দিনশেষে ইসরাইলে করোনাভাইরাস বিষয়ক মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ধারাবাহিক নতুন নতুন বিধিনিষেধ আরোপের। বৃহত্তর মন্ত্রীপরিষদ দ্বারা তা চূড়ান্ত দফায় অনুমোদন হতে হবে।
এর আওতায় ইসরাইলি নন এমন ব্যক্তিদের দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইসরাইলের নাগরিক যারা পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদেরকে কমপক্ষে তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যারা টিকা নেননি এমন ইসরাইলি নাগরিকরা দেশে ফিরলে তাদেরকে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ওপর নজরদারি অনুমোদন করেছে মন্ত্রীপরিষদ। এই নজরদারি করবে দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্সি শিন বেত। প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, এক্ষেত্রে ফোন ট্র্যাকিং প্রযুুক্তি ব্যবহার করা হবে।
ওদিকে শনিবার আফ্রিকার ৫০ টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে ইসরাইল। ওইসব দেশ থেকে যেসব ইসরাইলি নাগরিক দেশে ফিরবেন তাদেরকে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। বেশির ভাগ আফ্রিকার দেশ থেকে ইসরাইলে সব বিদেশি নাগরিকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি হয় শুক্রবার।
আমেরিকার জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে ইসরাইলে কমপক্ষে ১৩ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন কমপক্ষে ৮১০০ মানুষ।