× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া হাওরসহ মাঠে মাঠে ধান কাটার ধুম

বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

আমন ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফসল ভালো হয়েছে, যাকে বলে বাম্পার ফলন। তাই উৎপাদন ব্যয়ের কথা ভুলে গিয়ে আপাতত হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ভাষ্যেও আমনের ফলন ভালো হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে মুড়িয়া হাওরসহ বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা। করোনা মহামারির কারণে নবান্নের আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও আমেজটা ঘিরে রেখেছে গৃহস্থ পরিবারগুলোকে। সীমান্তবর্তী নয়াগ্রামের বাসিন্দা ও কৃষক পরিবারের সদস্য হাফিজুর রহমান তামিম জানান, ‘ধান কাটা শুরু করেছি।
এগুলো গোলায় তোলার পরই আত্মীয়স্বজন আসা শুরু করবেন। নবান্ন ঘিরে উৎসব না থাকলেও আমার বোন-ফুফুর বাড়ির লোকজন আসবেন।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজারে এবার ৬১১০ হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে বেশি আবাদ হয়েছে ব্রি-৭৫ জাতের ধান।
মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের কৃষক আসাদ, আলফাছ, আলতাফসহ বেশ কয়েকজন বলেন, এবার ব্রি-৭৫ জাতের ধানের বেশি আবাদ করেছি। ধান কাটা শুরু হয়েছে মাত্র। ফলন অনেক ভালো হয়েছে, তবে দাম ভালো পেলেই হয়।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর রোপা আমনের ফলন ভালো হয়েছে এ উপজেলায়। এতে খুশি স্থানীয় কৃষকরা।
আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই চলছে পুরোদমে। মাঠের সোনালী ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। চাষিরা বলছেন, ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা। কিন্তু কিছুটা বেড়েছে উৎপাদন ব্যয়। বিঘা প্রতি অতিরিক্ত খরচ গুণতে হয়েছে তাদের। চলতি বছর আমন চাষে বড় কোনো প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়নি স্থানীয় কৃষকদের। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
শ্রীধরা গ্রামের কৃষক আলাল উদ্দিন জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর রোপা আমনের আবাদ ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে ফসল কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে সুন্দরভাবে ফসল ঘরে তোলা যাবে।
দুবাগ ইউনিয়নের গয়লাপুর গ্রামের কৃষক ফজলু মিয়া জানান, অন্য বছর ফসল কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও এ বছর সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের ‘হারভেস্টার মেশিন’ দেয়ায় ধান কাটতে সুবিধা হয়েছে। হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে প্রতি কাটায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দিতে হয়। এতে টাকা সাশ্রয়সহ সময়ও কম লাগে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন বলেন, আমাদের সার্বিক তদারকিতে কৃষকদের প্রচেষ্টায় বিয়ানীবাজারে এবার ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর