× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিলমারীর ৪২০ পরিবার পেলেন মুজিববর্ষের উপহার

বাংলারজমিন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

ভাঙনকবলিত কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার জমি হারা গৃহহারা নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো ছিল আশ্রয়হীন। কেউ বাঁধের উপর আবার কেউ অন্যের জায়গায় ঠাঁই নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছিল। নিজস্ব এক খণ্ড জমিও ছিল না। শত শত পরিবার ছিল ভূমি ও গৃহহীন। সরকারের সহযোগিতায় আজ তারা জমিসহ পেয়েছে শান্তির নীড়। এমন একজন লতিফা বেওয়া। ১৫ থেকে ২০ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে হারিয়েছেন সবকিছু। স্বামীও চলে যান প্রায় ২০ বছর আগে।
অভাবের সংসারে স্ত্রী সন্তানদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেননি লতিফার স্বামী। সবকিছু হারিয়ে মেয়েকে নিয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন পুটিমারী বাঁধে। কষ্ট করে মেয়ের বিয়ে দিলেও উচ্ছেদ অভিযানে রক্ষা করতে পারেননি বসবাসের স্থানটি। অসহায় এই লতিফা এবাড়ি ওবাড়ি খেটে কষ্টে দিনানিপাত করছিলেন। অবশেষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারি সহযোগিতায় চিলমারী উপজেলার পুটিমারী মণ্ডলপাড়া তেলিপাড়া এলাকায় লতিফা পেয়েছে জমিসহ পাকাঘর। ভূমি ও গৃহহীন লতিফা এখন স্বপ্নের নীড়ে আনন্দে দিন পার করছেন।
লতিফার মতো স্বপ্নপূরণ হয়েছে উঁচুভিটা বাঁধে থাকা হাজেরার। তিনিও নদীতে সবকিছুই হারিয়েছেন। স্বামীকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে ভাঙা ঘরে ছিল তার সংসার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরে সুখের স্বপ্ন বুনছেন তিনি। নিজের বলতে কোনো জায়গা না থাকায় অন্যের স্থানে বসবাস করে ঠেলাগাড়ি চালিয়ে দিনাপাত করতো সাহের আলী। তার স্ত্রী ছবুরা বলেন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ঘর পেয়ে তারা এখন সুখে রাত কাটাচ্ছেন। কষ্ট থাকলেও ছিল না একটি থাকার স্থান সেটি পূরণ করেছে শেখের বেটি শেখ হাসিনা বলেন, তেলিপাড়া মণ্ডলপাড়ায় মুজিববর্ষের প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া ঘরে বসবাস করা সুফিয়া। তিনি আরও জানান, ছিলাম রাস্তার পাশে ভাঙা ঘরে রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে কি যে কষ্ট হতো তা বোঝানো যাবে না, আল্লাহর রহমতে সরকারি সহযোগিতায় পাকা ঘর পেয়ে কষ্টগুলো দূরে যাচ্ছে। শুধু লতিফা, হাজেরা, ছবুরা নয় শত শত ভূমি ও গৃহহীন পরিবার আজ পেয়েছেন স্বপ্নের নীড়। তারা এখন পাকা ঘরে সুখের স্বপ্ন বুনছেন। সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ হাবিবুল ইসলাম অপু বলেন, গৃহহীন মানুষরা আজ পাকা ঘর পেয়ে সুখের ছোয়া পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাটি ভাঙনকবলিত তাই এই অঞ্চলে ভূমি ও গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বেশি, আশা করি সরকারি সহযোগিতায় সকলে সুখের ঠিকানা দেখবেন। তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এখন পর্যন্ত ৪২০টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে। ধারাবাহিকতাভাবে সকল ভূমি ও গৃহহীন মানুষদের জমিসহ ঘর প্রদান করবেন সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার, উন্নয়নের সরকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আজ হাজার হাজার পরিবার পেয়েছে সুখের সন্ধান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর