দলীয় ৫১ রানে পাঁচ উইকেট নেই ভারতের। মনে হচ্ছিল স্বল্প রানেই দ্বিতীয় ইনিংস গুঁড়িয়ে যাবে ভারতীয়দের। খাদের কিনারায় থাকা দলের হাল ধরলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋদ্ধিমান সাহা। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লম্বা করতে থাকেন ইনিংস। এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেলের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে ২৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেয় ভারত।
স্বাগতিকরা ২৩৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করার পর ১ উইকেট হারিয়ে ৪ রান নিয়ে চতুর্থদিন শেষ করে কিউই ব্যাটাররা। পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য ২৮০ রান প্রয়োজন নিউজিল্যান্ডের। আর ভারতের প্রয়োজন ৯ উইকেট। তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ রান জড়ো করে ভারত।
৬৩ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করা ভারতীয় ব্যাটাররা পড়ে কাইল জেমিসনের তোপে। দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে কিউই পেসারের উইকেটে পরিণত হন চেতেশ্বর পূজারা। ফেরার আগে ওয়ান ডাউন এই ব্যাটারের সংগ্রহ ছিল ২২ রান। এরপর দলীয় সংগ্রহে ৯ রান জড়ো করতে করতে ফেরেন আজিঙ্কা রাহানে (৪)। সুবিধা করতে পারেননি ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালও। দলীয় ৫১ রানে ফেরেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজা তো রানের খুলতে পারেননি রানের খাতাই। উইকেট আসা-যাওয়ার দৃশ্যে একপাশ আগলে রেখে ইনিংস বড় করছিলেন অভিষিক্ত শ্রেয়াস আইয়ার। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা এ ব্যাটার এদিন করলেন হাফসেঞ্চুরি। যা ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। বিশ্ব ক্রিকেটে দুই ইনিংসের একটিতে সেঞ্চুরি ও অপরটিতে হাফ সেঞ্চুরির নজির আরও ১৪ বার থাকলেও এই প্রথম কেউ ভারতের হয়ে গড়লেন এই রেকর্ড। ১২৫ বলে ৬৫ রান করে টিম সাউদির বলে আউট হন আইয়ার। ঋদ্ধিমানও পূর্ণ করেন অর্ধশতক (৬১*)। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সংগ্রহ ৩২ রান। আর ২৮ রানে ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন অক্ষর। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন সাউদি ও জেমিসন।
২৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাট করা উইল ইয়ংকে হারায় নিউজিল্যান্ড। অশ্বিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন কিউ ওপেনার। চতুর্থ দিন শেষে টম ল্যাথাম ২ রান ও উইলিয়াম সমারভিল ০ রানে অপরাজিত থাকেন।