× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিছু অঞ্চলে করুণ পরিণতি বয়ে আনতে পারে ওমিক্রন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) নভেম্বর ৩০, ২০২১, মঙ্গলবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আরো সতর্কতা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলেছে, সারা বিশ্বে এই ভাইরাস উচ্চ মাত্রায় সংক্রমণ ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এর ফলে কিছু অঞ্চলে করুণ পরিণতি বয়ে আনতে পারে ওমিক্রন। সোমবার সংস্থাটি এ সতর্কতা দিয়েছে। এর প্রধান ড. টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস দরিদ্র দেশগুলোকে টিকাদান দ্রুততর করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখনও কোভিড-১৯ আমাদেরকে ছেড়ে যায়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় এ মাসে। প্রাথমিক তথ্যে বলা হচ্ছে, এর আছে নতুন করে সংক্রমণের উচ্চ মাত্রায় ক্ষমতা।
ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বকে জানানোর জন্য প্রশংসা করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, অপ্রত্যাশিত সংখ্যক স্পাইক প্রোটিনের রূপান্তর ঘটিয়েছে ওমিক্রন। করোনা মহামারিতে তার অনেকটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

সোমবার বক্তব্যকালে ড. টেডরোস বলেছেন, ওমিক্রন উচ্চ মাত্রায় সংক্রমণ, অধিক সংক্রমণের ঝুঁকি সৃষ্টি করে কিনা এবং বিদ্যমান টিকাগুলোর সঙ্গে কি প্রতিক্রিয়া দেখায়- তা নির্ধারণের জন্য বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করে চলেছেন। তিনি আরো বলেন, ওমিক্রন আমাদেরকে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, আমরা অনেকেই হয়তো ভাবছি করোনা মহামারি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আসলে তা নয়।

এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে আছে কানাডা, বৃটেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস। তবে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে কারো মারা যাওয়ার খবর জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন ড. টেডরোস।

নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ও তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে চটজলদি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বৃটেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল ও জাপানে বিদেশি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। একই রকম নির্দেশ দিয়ে এই দুটি দেশ বলেছে, নিজেদের নাগরিক দেশে ফিরলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বিধিনিষেধের জালে আটকা পড়া সীমান্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তারা আপাতত সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। দক্ষ শ্রমিক এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে যেসব মানুষ ভিসা পেয়েছিলেন, বুধবার থেকে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন তা ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিলম্বিত করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।

বৃটেনে ১৮ বছরের ওপরে যাদের বয়স, তাদের সবাইকে করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজ নিতে বলা হচ্ছে। ওমিক্রন থেকে নতুন করোনার ঢেউ শুরু হতে পারে এবং এ জন্য তা থামিয়ে দিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিনিদের বুস্টার ডোজ নিতে উৎসাহিত করেছেন। জনগণকে ইনডোরে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি আর কোনো ভ্রমণ বিধিনিষেধ বা লকডাউন দিতে চান না। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে কমপক্ষে ২৬ কোটি ১০ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ লাখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
SJ
১ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ১:২৪

এমন আগ্রিম বার্তা মানুষের মনোবলকে দুর্বল করে । করোনার পিছন থেকে সরে আশাই ভালো । কিছু কিছু আধুনিক পদ্দতি মানুষকে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশী করে ।

অন্যান্য খবর