বালু উত্তালনের ফলে কৃষিজমি, বাঁশঝাড়, গাছগাছালি এবং বসতবাড়ি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। পরিবেশের এই বিপর্যয় রোধে বালু উত্তোলনের নির্দিষ্ট অনুকূল স্থান নির্ধারণের পাশাপাশি প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে মনিটরিংয়ে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত অবৈধ ও অপরিকল্পিভাবে বালু উত্তোলন, প্রতিবেশ-পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। গতকাল সকালে বাপা হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, চা বাগান থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা প্রদান বন্ধ আছে। সরকারি বালু মহাল থেকে সাধারণত কোনো অভিযোগ আসে না।
অভিযোগ এলে অবশ্যই আমরা পদক্ষেপ নেব। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিজেন ব্যানার্জি, পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, বাপা’র হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নয়ন মনি সূত্রধর, হবিগঞ্জ সদর সিনিয়র উপ মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার উল্লেখ করেন, হবিগঞ্জে ২৩টি সিলিকা বালুমহাল ও ৭টি সাধারণ বালুমহাল রয়েছে। ছড়াগুলো থেকে বালু উত্তোলন করা হলে পরিবেশগত বিপর্যয়ের ভয়াবহতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় এসব এলাকায় বালু মহালের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।