গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বিজয় দিবস হলের আবাসন ব্যবস্থা ও সুবিধা নিয়ে অভিযোগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হলের শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়ে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ অভিযোগ করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষার সময় তাদের গণরুম থেকে বের করে দেয়া হয়। গণরুমের পরিবেশ খুবই নাজুক। সরজমিন দেখা গেছে, হলের বেশির ভাগ বাথরুমের দরজা ভাঙা, ছিটকিনি ও বৈদ্যুতিক বাতি নেই। গণরুমে বসবাসের অযোগ্য পরিবেশ বিরাজমান। পরিচর্যার অভাবে ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় আছে হলটি। এ বিষয়ে আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ও আবাসিক হলের শিক্ষার্থী মোহতাসিম রোহান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বেশির ভাগ বাথরুমের দরজা ভাঙা, লাইট না থাকার কারণে ছাত্রদের নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়।
কিন্তু হল প্রভোস্ট এ দায় ছাত্রদের দিকে দেন।’ তাছাড়া ডাইনিংয়ের খাবারের প্রতি অসন্তোষ জানান এই শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বিজয় দিবস হলের সহকারী হল প্রভোস্টদের নামে টাকা তোলা হলেও কোন খাতে টাকা ব্যয় করা হয় এ বিষয়ে তাদের কিছু জানানো হয় না। যে সহকারী হল প্রভোস্টের নামে টাকা তোলা হয়, সেই সহকারী হল প্রভোস্টও জানেন না কোন খাতে কতো টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিজয় দিবস হলের একাধিক সহকারী হল প্রভোস্ট। পরীক্ষার মধ্যে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়া হবে না বলে জানানো হলেও পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে হল প্রভোস্ট শফিকুল ইসলাম বাজেট স্বল্পতার কথা তুলে ধরলেও শিক্ষার্থীদের দাবি ওয়াশরুমের দরজা রয়েছে। শুধু ছিটকিনি কিংবা ছোট ছোট সমস্যার জন্য নতুন দরজা না লাগিয়ে মেরামত করা যায়। দরজা মেরামত কিংবা ওয়াশরুমের বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর জন্য বাজেটের চেয়েও বেশি প্রয়োজন আন্তরিকতার। হল খোলার অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও সমাধান হচ্ছে না সমস্যাগুলোর, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে বিজয় দিবস হলের প্রভোস্ট শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। আমাকে লিখিত বা ই-মেইলে জানাও। তাহলে আমি লিখিত উত্তর দিবো।’ পরবর্তীতে এই প্রতিবেদক ই-মেইলে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি।