২৮শে নভেম্বর ৩য় ধাপে মুক্তাগাছার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৬নং মানকোন ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রায়থোরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার বিষয়ে কারচুপির সন্দেহে ৬নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. তারা মিয়া (মোরগ প্রতীক) এর ভোট গণনার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।
অন্যদিকে, ৮নং দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী আব্বাছ আলী তার নির্বাচনী ফলাফলের ভোট পুনঃগণনার আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিকাল ৪টার পর ভোট গণনার সময় তার ৯৭টি ভোট অন্যায়ভাবে বাতিল করে তাকে ৩১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। অভিযোগে বলেন, দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু ভোট বাতিল করে তাকে সুকৌশলে পরাজিত দেখিয়েছেন। তার দাবি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সে অন্যায় কাজ করেছেন। ভোট গণনার সময় তার দেয়া এজেন্ট প্রতিবাদ করেন এবং ভোট পুনঃগণনার জন্য দাবি জানালে প্রিজাইডিং অফিসার তা আমলে নেননি এবং তাকে জানানো হয় উপজেলায় গিয়ে ভোট গণনা করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রার্থী আব্বাছ আলী গতকাল মঙ্গলবার রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর ভোট পুনঃগণনার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন। এদিকে নির্বাচনের পরের দিন ভোটকেন্দ্র মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের স্কুল ঘরের পেছনে টিউবওয়েল প্রতীক সিল ও স্বাক্ষর সংবলিত ব্যালট পেপার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে তার সন্দেহ আরও গণীভূত হয়।
মানকোন ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মো. তারা মিয়া জানান, আমি নামাজে ছিলাম, ভোট গণনার সময় ছিলাম না। প্রিজাইডিং অফিসার আমাকে কোন রেজাল্ট সিটও দেননি। জানতে পারি আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আ. রেজ্জাক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার বৈধ ৮২টি ভোট নষ্ট দেখিয়ে বাতিল করা হয় এবং আমার প্রতিপক্ষকে ৫৩ ভোট বেশি দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ ব্যাপারে আমি লিখিত ও মৌখিকভাবে রিটার্নিং অফিসার বরাবরে পুনঃগণনার ও নষ্ট ভোট যাচাই-বাছাইয়ের আবেদন করেছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী দুই প্রার্থী।