প্রশাসনের লোকজন বাড়িতে যাওয়ার পরই জানলো দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রবাসীদের বাড়ি ফেরার খবর। বিস্ময়েরও সৃষ্টি হয় এতে। কসবার খাড়েরার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুছা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন-‘আলমগীর বাড়িতে আসছে ১৩ দিন হইছে। এয়ারপোর্টেই তো দরকার ছিল তারে চেক করে কোয়ারেন্টিনে রাখার।’ গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশের বাড়িতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দেয়া হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ। অবশ্য এই প্রবাসীরা দু’সপ্তাহ আগে দেশে ফেরেন। সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ৭ প্রবাসীর তথ্য আসে জেলা পুলিশের কাছে। এরপরই জেলা করোনা কমিটি জরুরি বৈঠকে বসে।
সিদ্ধান্ত নেয় তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার এবং বাড়ি লাল পতাকায় চিহ্নিত করার। পাসপোর্ট নম্বর সূত্রে আগত প্রবাসীদের বিস্তারিত খুঁজে বের করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা। এরপরই গতকাল সকালে তাদের বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও থানার ওসি। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম বলেন- জেলা করোনা কমিটির বৈঠকের নির্দেশনা অনুসারে তারা আগত প্রবাসীদের বাড়িতে যান এবং বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়। নির্ধারিত সময়ের পর পরীক্ষা করাবেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বাড়ি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ৭ প্রবাসীর। এরমধ্যে কসবার খাড়েরা গ্রামে বাড়ি ৩ জনের আর সৈয়দাবাদ গ্রামে ২ জনের। তারা হচ্ছেন খাড়েরার আলীশা, আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া তাহেরা আক্তার, সৈয়দাবাদ গ্রামের লোকমান মিয়া ও আল আমিন। নবীনগরের সিকানিকা গ্রামের রাজু সরকার এবং বাঞ্ছারামপুরের খোষকান্দি গ্রামের আতিকুর রহমান। পুলিশ জানিয়েছে তারা সবাই ১৬ই নভেম্বর দেশে ফেরেন। খাড়েরা গ্রামে আলমগীর ভূঁইয়ার বাড়িতে গেলে তার স্বজনরা জানান- সে ভালোই আছে এবং কোয়ারেন্টিন মেনে চলছে।