চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়ন ও মিরসরাই উপজেলার কয়লার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কয়লাখালের কয়েকটি স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এ নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী ও রাস্তাঘাট, তারাখো রাবার বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশের ভারসাম্য এবং নদীর আশপাশের বাড়িঘর। বারবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযানের পরও থামছে না বালু উত্তোলন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলার সুবলছড়ি ও কালাকুম এলাকায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কয়লাখাল হতে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কয়লাখাল থেকে নদী দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে চলেছে। কিছুদিন আগে ফটিকছড়ি ও মিরসরাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিনসহ বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত দুই জিপে আগুন ধরিয়ে দেন। তারপরেও কোনমতেই বালু উত্তোলন থামছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক জানান, প্রশাসনের পক্ষে থেকে অভিযানের পর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় আবার বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
রাতের আঁধারে ট্রাকে করে বিক্রি করা হচ্ছে এসব বালু। আর এসব কিছুর নেতৃত্বে দিচ্ছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল।মাঝে মাঝে খবর পেয়ে করেরহাট স্টেশনে এ পর্যন্ত কয়েকটি গাড়ি আটক করে মামলা দেয় বনবিভাগ উত্তোলনের বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, জানে আলম জানান, 'ওইসব স্থানে বালু উত্তোলন হচ্ছে বলে আমি গতকাল শুনেছি। অবৈধ কাজের কাছে আমি মাথা নত করবো না সে যদি আমার বাপও হয়। এর আগেও সেখানে সাবেক ইউএনও মহোদয় অভিযান পরিচালনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, আসলে অভিযানের আগেই বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না। সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।