× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ

বাংলারজমিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

ঝিনাইদহে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠেছে। পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজখবর নেয়া এবং সংসার খরচ  দেয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় প্রায় ২ বছর ধরে শিশু সন্তান নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে স্ত্রী। এ নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী অনি। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য আশিক হোসেন (বিপি নং-৯৫১৪১৬৮৫১১) ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের পান্নু মোল্লার ছেলে। বর্তমানে আশিক যশোরের অভয়নগর থানার পাথালিয়া ক্যাম্পে কর্মরত।
ভুক্তভোগী শামীয়া শারমিন অনি বলেন, ২০১৫ সালের ১৫ই জুলাই প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আশিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। তাদের সংসারে ৩ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
অনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে সে মোবাইলে বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে কথা বলতো।
বিষয়টি আমি টের পেয়ে তাকে নিষেধ করলে বকাবকি ও মারধর করতো। এভাবেই চলছিল তাদের সংসার। ২০১৯ সালে কুষ্টিয়ায় কর্মরত থাকা অবস্থায় যশোর কোতোয়ালি থানার শংকরপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ফারহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ফারহানার ৮ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। পূর্বে দুই স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে। ফারহানার সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি অনি টের পেলে তার ওপর শুরু হয় নির্যাতন। অনিকে কুষ্টিয়া শহরে একটি বাসা ভাড়া করে রেখে আসে আশিক। বন্ধ করে দেয় সংসারের খরচ। অসহায় অনি তার সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন শুরু করে। এ নিয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের বরাবর অভিযোগও দেন ভুক্তভোগী অনি। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় মামলা হলে আশিক বদলি হয়ে যশোর চলে যায়। সেখানে গিয়ে অনিকে মারধর ও হুমকি দেয়া শুরু করে। অনি তার শ্বশুরবাড়ি গেলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। এদিকে পুলিশ সুপারের বরাবর অভিযোগ দিলেও এখনো তিনি সুবিচার পাননি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শামীয়া শারমিন অনি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আশিক হোসেন বলেন, এসব কথা তো মোবাইলে বলা যাবে না। অনেক সমস্যা আছে, সামনাসামনি কথা বললে ভালো হয়। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) মো. ইয়াছির আরাফাত বলেন, আশিকের স্ত্রী অনি পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগের কিছু বিষয়ের সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মামলা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। আশা করি দ্রুতই এর রিপোর্ট পেশ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর