রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেণু হত্যা মামলা চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। অর্থের অভাবে তার দুই শিশু সন্তান তাসফিক আল মাহি ও তাসলিমা তুবার পড়ালেখাও বন্ধ হওয়ার পথে।
নিহত রেণুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন বলেন, খালা মারা যাওয়ার পর থেকে তার দুই ছেলে-মেয়ে মাহি এবং তুবা আমার বাসায় থাকে। ওর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। ডিভোর্সের পর থেকেই তিনি সন্তানদের কোনো দায়িত্ব পালন করতেন না। মাহি মাইলস্টোন স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তুবাকে একটি কিন্ডার গার্টেনে ভর্তি করা হয়েছে। ওরা যত বড় হচ্ছে ওদের ব্যক্তিগত চাহিদা ও খরচ বাড়ছে।
তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
নাসির উদ্দিন বলেন, যত দ্রুত মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল তেমনটা হচ্ছে না। চার্জশিট অনেক দেরিতে দেয়া হয়েছে। মামলার এই পর্যায়ে এসে আমরা অনেকটাই নিঃস্ব এখন। আর্থিকভাবে আমরা এতটা স্বচ্ছ না। খুব ভালোভাবে জীবনযাপন করছি এমনটা নয়। দুটি বাচ্চাকে নিয়ে আমরা অনেক ধরনের প্রতিকূলতা এবং চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তার মধ্যে যদি মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হয় তাহলে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের হবে। এদিকে রেণুর মা বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। এখন তার একটাই চাওয়া মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দেখে যাওয়া। তিনি বলেন, মামলার আসামি শিশু জাফর ও ওয়াসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে। গত ২২শে সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মহানগর দায়রা অতিরিক্ত-৬ ট্রাইব্যুনাল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য গত ৮ই নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে তিনজন অভিযুক্ত আসামির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০শে জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন রেণু। সেখান থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগ্নে নাসির উদ্দিন।
Munir Hossain
২৫ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার, ১২:৫৯গন পিটুনির নামে যারা মানুষ কে মেরে ফেলে ওরা মানুষ না । ওরা হায়নার দল আমি আশাবাদী এই হায়নাদের ফাসির রায় হবে