× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রূপগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতা চলছেই / আতঙ্কের নগরী কায়েতপাড়া

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা চলছেই। প্রতিদিন ঘটছে হামলা মারধর, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ আর বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা। বহিরাগত সন্ত্রাসী সেখানে এক সন্ত্রাসীর পক্ষ নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে ঘটছে এসব ঘটনা।
পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী আর সেখানকার বাসিন্দারা জানান, গত ১১ই নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার ১ নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে হেরে যান রূপগঞ্জের অন্যতম সন্ত্রাসী ও মোশা বাহিনীর প্রধান মোশারফ। এরপর থেকেই হারের বদলা নিতে গ্রামে একের পর এক তাণ্ডব চালাচ্ছেন।
রূপগঞ্জের এমপি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর (বীরপ্রতীক) সরাসরি তার পক্ষ নেয়ায় মোশারফ হয়ে উঠেছেন আরও বেপরোয়া।  গত ২০ দিন ধরে টানা সংঘর্ষ চলছে কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামে। গ্রামবাসীও মোশারফের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছেন সশস্ত্র প্রতিরোধ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে মোশা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় গ্রামবাসীর। এ সময় মোশা বাহিনীর দু’টি বাড়ি আর গ্রামের আরও ৪টি বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। মোশা বাহিনীর হামলায় আহত হয় অন্তত ১২ জন। এসব ঘটনা পরিদর্শনে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রূপগঞ্জের সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।  এ সময় তিনি সরাসরি মোশারফ আর তার পালিত লোকজনের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করে ক্ষতিপূরণ দেন। গ্রামবাসী বারবার আবদার করলেও গ্রামের লোকজন তার প্রতিপক্ষ রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের অনুসারী দাবি করে মন্ত্রী গ্রামের অন্য কোনো ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেননি। খোঁজ নেননি আহত ব্যক্তিগণের। মন্ত্রীর এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সেখানকার মানুষ। এলাকাবাসী জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই ধারায় বিভক্ত। এরপক্ষে মন্ত্রী গাজী আর তার ছেলে পাপ্পা ও অন্যপক্ষের নেতৃত্ব দেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। রফিককে কোণঠাসা করতে মন্ত্রী সন্ত্রাসী মোশারফের পক্ষ নিয়ে কায়েতপাড়ার সংঘাতকে উস্কে দিচ্ছেন বলে দাবি তাদের। এ কারণে গত ২০ দিনেও থামেনি কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামের সংঘাত। সে এলাকা যেন এখন আতঙ্কের নগরী। অন্য এলাকার কোনো মানুষ সেখানে প্রয়োজন হলেও যাচ্ছেন না। হামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ- অঞ্চল) আবির হোসেন বলেন, নাওড়া গ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে পুলিশ র?্যাব আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাতদিন সেখানে পরিশ্রম করছে। এসব হামলা সংঘর্ষে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। নাওড়ায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেছি। আমরা সংঘাত থামানোর সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর