দরিদ্র রিকশাচালক কামরুল সরদার (৫৫) ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটার হোগলাডাঙ্গায় কেয়ারটেকার হিসেবে একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন কামরুল। ৮ বছর আগে কামরুলের একটি ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। কামরুলের স্ত্রী একটি চায়ের দোকান করতেন। করোনার লকডাউনে দোকানের পুঁজি ভেঙে খেয়ে এখন নিঃস্ব তারা। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। সহায় সম্বল যতটুকু ছিল তা দিয়ে একটি কেমোথেরাপি দিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আরও ৫টি কেমো লাগবে।
অসুস্থ কামরুল বলেন, কয়েক মাস আগে খুলনার কিউর হোম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখানোর পর টেস্টের মাধ্যমে জানতে পারি ফুসফুসে ক্যান্সার হয়েছে। সেই থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার একটি কেমো দেয়া হয়েছে। ২১ দিন পর পর বাকি ৫টি কেমো দিতে হবে। এ জন্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন। আমি পরিবারের জন্য বাঁচতে চাই। দেশের সহৃদয় মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। পাশাপাশি সবার কাছে দোয়া কামনা করছি। কামরুলের স্ত্রী জোছনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। আমার স্বামী আগে রিকশা চালাতো। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর তাও পারছে না। আমি রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকান দিতাম। করোনার লকডাউনে তাও শেষ। এখন যদি কিছু পুঁজি পেতাম তাহলে আবার চায়ের দোকান দিতে পারতাম। সবার সাহায্য সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে কামরুল, অন্যদিকে সবার সহযোগিতা বাঁচিয়ে রাখবে একটি দরিদ্র পরিবারকে। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা- হিসাব নং-০০৬১১২০১৫৩২২৪, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, খুলনা শাখা। কামরুলের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করুন ০১৯৭৭-৩৯০৬৯০ (বিকাশ পার্সোনাল) নম্বরে।