× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রামপুরায় বাসে আগুন / দুই মামলায় আসামি ৬৫০-৮০০

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

রাজধানীর রামপুরায় বাস চাপায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নিহত হওয়ার পর বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় রামপুরা ও হাতিরঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলায় বাদী হয়েছেন পুলিশের দু’জন উপ-পরিদর্শক (এস আই)। দুই মামলাতেই ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের জন্য ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-জনতাকে’ দায়ী করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ৬৫০-৮০০ জনকে। গত সোমবার রাতে ওই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার রামপুরা থানায় সড়ক পরিবহন আইনে প্রথম মামলাটি করেন শিক্ষার্থীর মা রাশেদা বেগম। পরে একই থানায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা জনতাকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় বাদী রামপুরা থানার এস আই মো. মারুফ হোসেন। গতকাল সকালে হাতিরঝিল থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতাকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় বাদী হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা।
হাতিরঝিল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ বলেন, গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’ বেআইনিভাবে সমাবেশ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সড়কে চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রোলবোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন এবং পথচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মারধর করে। এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার মামলার এজাহারে বাদী এস আই এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা উল্লেখ করেছেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বেতারযোগে খবর পান একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র/জনতা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি, ইটপাটকেলসহ হাতিরঝিল থানার পশ্চিম রামপুরা ডিআইটি রোডে রাস্তার উপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। চলমান রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রোলবোমা দ্বারা বাসে আগুন দিয়ে দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই রামপুরা ডিআইটি রোডে রাস্তার উপর ২৫০-৩০০ জন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র/জনতা রামপুরা কাঁচাবাজার থেকে মোল্লা টাওয়ার পর্যন্ত রাস্তার উপর বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করছে। ওই স্থানে একটি রাইদা পরিবহন কোম্পানির বাস, ২টি অনাবিল পরিবহনের বাস জ্বলছে। পথচারীরা বাধা দেয়ায় ছাত্র/জনতারা তাদের মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। এজাহারে এস আই আরও উল্লেখ করেন পরে তিনি ঘটনাস্থল থেকে রাইদা পরিবহনের ১টি বাস, ২টি অনাবিল পরিবহনের বাস, চার টুকরা ভাঙা গ্লাস, ৫টি বাঁশের লাঠি, অকটেন ভর্তি বোতল আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।
রামপুরা থানার এজাহারে বাদী এস আই মারুফ হোসেন উল্লেখ করেছেন, গত সোমবার রাত ১১টা ৫ মিনিটের সময় তিনি পূর্ব রামপুরা হাইস্কুলের গলি এলাকায় অবস্থানকালে রামপুরা থানার বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে খবর পান ৩৫২, ডিআইটি রোড পূর্ব রামপুরার মেইন সড়ক পার হওয়ার সময় অনাবিল বাসের চালক একজন পথচারীকে ধাক্কা দিয়েছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ওই পথচারী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তথ্যটি ঊর্ধ্বতনদের জানান। ঘটনাস্থলে বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত হন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা উত্তেজিত জনতা নিহত ব্যক্তির মরদেহ রেখে বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে মিছিল করে বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুরসহ বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তিনি ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানান। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার আগেই ৭টি বাস পুড়ে যায়। এসব বাস পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ৪৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এরমধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা মামলায় অনাবিলের চালক চাঁন মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গণপিটুনির শিকার সেই চালক বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন আছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর উচ্ছৃঙ্খল জনতা বাসে আগুন ও ভাঙচুর চালায়। ৭টি বাসে আগুন ও ৪টিতে ভাঙচুর করায় পৃথক একটি মামলা হয়েছে। আসামি সব অজ্ঞাত। এ মামলায় বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ও ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে ওসি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Borno bidyan
১ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ৮:২৫

যে কোনো ঘটনার পরে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে গণ-মামলা দেয়া মানেই গণ-গ্রেফতার তথা গ্রেফতার বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করা, যা পুলিশকে দুর্নীতির পথে ঠেলে দেয়ার প্রাথমিক ধাপ! ইতিপূর্বের ঘটনার সেটাই প্রমাণিত! গাড়ি পোড়ানোর সংস্কৃতি রাজনীতিবিধদেরই সৃষ্টি! সেটা সরকারী দল ও বিরোধী দল উভয়েই দায়ী হলেও কেউ ন্যাকা সাজে আর কেউ বোকা সাজে !

অন্যান্য খবর