সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে দুইপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়াও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর পৌরসভার ইসহাকপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ইসহাকপুরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী উস্তার গণি ও একই এলাকার বদরুল ইসলামের পক্ষের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধ চলছিল। সাস্প্রতিককালে স্থানীয় ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কমিটি গঠন ও ভূমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে দুপক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। লোকজন দিক-বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আলাল মিয়া (৩৩), আরিফ মিয়া (৩০), শাহেন মিয়া (২৬), সবুজ মিয়া (৩০), রাসেল মিয়া (২৭), দিলদার মিয়া (২৫), সাজিবুল ইসলাম (৪০), মোমিন মিয়া (৩৫), সামছুন্নুর (২৫), সামছুল ইসলাম (৫২), মাহবুব মিয়া (১৫), রাসেল মিয়া (২৪), নোমান (২৬), এলাইছ মিয়া (৬০) শাহিন উদ্দিন (৩০, রাহেল মিয়া (২০), সাইফুর রহমান (২৫), আব্দুস সামাদ (৪৫), মাহমুদ আলী (৫৫), শফিক মিয়া (৪২), আলী নুর (২৬), রুবেল মিয়া (৩২), আয়েশা বেগম (৪০), আশিকুল নেছা (৫০) ও আলেয়া বেগম (৪০)কে সিলেট ওসমানিতে রেফার্ড করা হয়। অপর আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষে আহত কিছু কিছু ব্যক্তি পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৩ জন আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন- ইসহাকপুরের আরকান উল্লার ছেলে আফজাল হোসেন লেছু মিয়া (৪৫), তৈরিছ মিয়ার ছেলে আব্দুল হক (২৫), সাজাদ মিয়ার ছেলে দিলসাদ মিয়া (৪৩)। জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয়পক্ষের ৩ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।