কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তা নির্মাণে বাধা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের জাওড়া কামারবাড়ি থেকে রতি পর্যন্ত ৯৪০ মিটার দীর্ঘ সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে গত ২৭শে নভেম্বর বিকালে বিপুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলালের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে একই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম ও তার সহযোগীরা। এ সময় চেয়ারম্যান দুলাল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোরশেদ ও তার সহযোগীরা রাস্তার ক্ষতিসাধন ও চেয়ারম্যানকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ওইদিন রাত ৮টায় অভিযুক্তরা লোহার রড ও খন্তি দিয়ে নবনির্মিত রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলে এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে ফেসবুকেও ঘটনাটি লাইভ করে।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- একই এলাকার সফিকুর রহমানের ছেলে দুলাল মিয়া, রুহুল আমিনের ছেলে মোরশেদ, আবুল কাশেমের ছেলে অহিদ, আমান উল্লাহর ছেলে নুরু, শাহজাহানের ছেলে দেলোয়ার ও রুহুল আমিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম মনির। নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘মোরশেদ ও তার সহযোগীরা বিপুলাসার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
এর আগেও তাদের নামে এলাকার নিরীহ মানুষকে অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তাদের কাছে সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোরশেদ আলম জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিধায় আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটাচ্ছে।’ মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুল কবির বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এদিকে, গতকাল মনোহরগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মুহিতুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’