প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেম্বার পদে ফেল করেও মানুষকে দাওয়াত খাতওয়াতে ইচ্ছুক আবদুল হামিদ নামে এক মেম্বার প্রার্থী। এ জন্য এলাকায় মাইকিং করে ১০ মণ চাল, ২টি গরু ও নগদ ১০ হাজার টাকাও প্রস্তুত রেখেছিলেন। কিন্তু দাওয়াতে এলাকার কেউ আসেননি। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাইগরপাড়া গ্রামে। নির্বাচনে হেরেও প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছিলেন পরাজিত প্রার্থী আবদুল হামিদ। জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের নন্নী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্যপদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে আবদুল হামিদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এমদাদুল হক (মোরগ প্রতীক) ও জালাল উদ্দিন (তালা প্রতীক)। রোববার ভোটের দিনে ফলাফল অনুযায়ী ওই ওয়ার্ডে ৭৩০ ভোট পেয়ে (মোরগ প্রতীক) প্রার্থী এমদাদুল হক বেসরকারিভাবে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
মাত্র ৬৪ ভোট পেয়ে আবদুল হামিদ (ফুটবল প্রতীক) নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ভোটাররা প্রতিশ্রুতি না রাখলেও আবদুল হামিদ তার দেয়া ওয়াদা মতো গত সোমবার এলাকায় মাইকিং করে ভোটারদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু সেই আমন্ত্রণে কেউ আসেননি। তিনি করোনাকালীন সময় সব ভোটারের বাড়িতে গিয়ে জিলাপি ও গোলাগুলি প?্যাকেট বিতরণ করেছিলেন। আবদুল হামিদ বলেন, ‘ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চেয়েছি। ভোটের পর দুটি গরু ও ১০ মণ চাল দিয়ে গ্রামবাসীদের খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ভোটাররাও আমাকে ভোট দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। ‘ভোট পেয়েছি মাত্র ৬৪টি। নির্বাচনে কেউ কথা রাখেনি। তাই মাইক মেরে গ্রামবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা, ২টি গরু ও ১০ মণ চালও প্রস্তুত রাখা আছে। গ্রামবাসী এলে সবাই মিলে গরু জবাই করে খাওয়ার আয়োজন করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। আমারও তো ভবিষ্যৎ রয়েছে। ছেলে মেয়ে রয়েছে। তারা না এলেও আমি আমার কথা রেখেছি।