চীন-ভারত সীমান্তে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিদ্যমান, তার প্রভাব পড়বে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও। সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে, এমনটা হতে পারে না। ভারত-চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্টভাবে একথা জানিয়ে দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর।

বৃহস্পতিবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিট’ এ তিনি জানান, সীমান্তে যে পরিস্থিতি রয়েছে, তার উপর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নির্ভর করবে। কড়া ভাষায় তিনি বলেন, "আমরা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছি যে সীমান্তের পরিস্থিতির উপর (দ্বিপাক্ষিক) সম্পর্ক নির্ভর করবে। এরকম হতে পারে না যে সীমান্তে উত্তেজনাপূর্ণ আবহ তৈরি হয়েছে এবং জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে দারুণ সম্পর্ক আছে। সেভাবে বিষয়টা চলে না। এটা অনিবার্য ছিল যে বিষয়টা (সীমান্তের উত্তেজনামূলক আবহ) অনেক ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে গিয়েছেও। একটা ছোটো জায়গায় সেটা আমরা আটকে রাখব এবং বাকি ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে যাব, এই বিষয়টা মোটেও বাস্তবসম্মত নয়।"

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়- গত বছরের মে মাসে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত বরাবর ভারত এবং চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। মুখোমুখি অবতীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় এবং চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। চীনের তরফে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই সংখ্যাটা ৪৫-এর কম নয়। পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্যাংগং সো লেকের উত্তর এবং দক্ষিণ সীমান্ত থেকে সেনা পেছনে সরিয়ে নেয় ভারত এবং চীন। সেইসঙ্গে প্রথম থেকেই ভারত স্পষ্ট করে জানিয়ে আসছে, সার্বিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সীমান্তে শান্তি ফেরাতে হবে।