অভিষেকেই ছড়াচ্ছিলেন আলো, কিন্তু সেই আলোয় শাহীন শাহ আফ্রিদির একটা বল এনে দিয়েছে অন্ধকার। ডাক করতে গিয়ে ইয়াসির আলী আঘাত পান মাথায়, লাঞ্চ বিরতির পর আর করতে পারেননি ব্যাটিং। ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালেও এবং সেখান থেকে বেরিয়েছেন বৃহস্পতিবার। ঢাকা টেস্টের দলেও আছেন। তারও ঢাকা টেস্টে খেলার সম্ভবনা কম দেখছেন মুমিনুল। গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি বলেননি মুমিনুল হক। তবে এক পর্যায়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই ছিলেন না জন্য সেই জায়গায় রাব্বি খেললো। এখন হয়তো যারা ছিলেন না তারা ফিরেছেন বলে হয়তো যারা খেলেছেন তারা দলের সঙ্গে থাকবে।’ এর আগে টিম কম্বিনেশন প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন, ‘সাকিব ভাই ঢুকলে টিম কম্বিনেশন ইজি হয়। তিনি এই দুদিন প্র্যাকটিস করলেন। ভালোই আছেন। আমরা ৪ জন বোলার ও ৭জন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলবো’। ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় দলের সাথে ঘোরার পর অবশেষে চট্টগ্রাম টেস্টে একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন ইয়াসির। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রান করে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করছিলেন, তখনই শাহিন শাহ আফ্রিদির বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় চট্টগ্রামের তরুণকে। দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামা অনিশ্চিত তাসকিন আহমেদেরও। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দারুণ বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ। ছন্দে ছিলেন ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। তবে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাতের ইনজুরিতে ছিটকে যান প্রথম টেস্ট থেকে। ইনজুরি থেকে সেরে ওঠায় ঢাকা টেস্টের স্কোয়াডে সুযোগ মিলেছে তার। স্কোয়াডে থাকলেও আজ তাকে খেলাবে কিনা টিম ম্যানেজমেন্ট তা পরিস্কার করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। এই সিরিজ শেষেই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের কথা মাথায় রেখেই খুব সম্ভবত পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে এই টেস্টে বিশ্রামে রাখা হবে তাসকিনকে। মুমিনুল বলেন, ‘তাসকিন খেলবে কিনা সেটির জন্য ম্যাচের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো আমরা। এই ম্যাচের জন্য সে তৈরি কিনা সেটি নিশ্চিত নই, তবে এটুকু বলতে পারি নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য সে পুরোপুরি তৈরি’।