ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশি বোলারদের ভালোই ভুগিয়েছেন আজহার আলী। অথচ তার বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারতো প্রথম সেশনেই। ইনিংসের ২১তম ওভারের ঘটনা। বোলিং করছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ওভারের তৃতীয় বলটি করেন ফুলার লেন্থে। মাটিতে পড়ে বল আজহার আলীর ব্যাট ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন হয়। আম্পায়ার সাড়া দেননি।
রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাট হালকা স্পর্শ করেছে বল। আল্ট্রা এজে কিছুটা স্পাইকের মতও দেখা যাচ্ছিল। তবে স্পাইকটা এতটাই সূক্ষ্ম ছিল যে টিভি আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত নট আউটের পক্ষেই ভোট দেন। এর আগে সাকিব আল হাসানের বলে একটি রিভিউ হারায় টাইগাররা। ১৬তম ওভারে সাকিবের বল প্যাডে খেলার চেষ্টা করেছিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। আরেকটু হলে এলবির ফাঁদে পড়তেন। আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নেন সাকিব। কিন্তু রিভিউ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে একটি রিভিউ না নিয়ে আক্ষেপে পুড়েছিল বাংলাদেশ। বোলার ছিলেন তাইজুল। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের ১৩তম ওভারে তাইজুলের বলে কাট করতে গিয়ে পরাস্ত হন আব্দুল্লাহ শফিক। আগে প্যাড নাকি ব্যাট এই দ্বিধায় আর রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় বল আগে প্যাডে লেগেছে। ছিল ইন লাইন, উইকেটেও হিট করেছিল। অর্থাৎ রিভিউ নিলেই উইকেট পেতেন তাইজুল। শফিক তখন ৯ রানে ছিলেন।
পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ ছিল ৩১ রান। দিন শেষে শফিক ৫২ ও পাকিস্তান বিনা উইকেটে তুলে ফেলেছিল ১৪৫ রান। শফিকের উইকেটটা নিঃসন্দেহে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারতো বাংলাদেশের জন্য।