× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১৯ ছাত্রলীগকর্মী হল ছাড়া / ক্রিকেট খেলা নিয়ে জাবিতে ভাঙচুর

বাংলারজমিন

জাবি প্রতিনিধি
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ রফিক-জব্বার হলে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধে ১৯ ছাত্রলীগকর্মীকে মারধরের পর হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ওই ছাত্রলীগকর্মীরা হলে ফিরতে পারেননি। একই ঘটনায় ৩ রুম ও মসজিদের ফুলের টব ভাঙচুরের  ঘটনা ঘটেছে। এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম ব্যাচের আহ্‌সান আমিন ফাহিম ও মো. সোহেল রানা ৪৭তম ব্যাচের ৪ জনকে রুম ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত করে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেয়। জানা যায়, গত শনিবার শহীদ রফিক-জব্বার হলের মাঠে ‘ইয়াকুব-মিশু স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের এক ম্যাচকে কেন্দ্র করে হলের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আয়োজক ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে ৪৬তম ব্যাচের ছাত্রলীগকর্মীরা ৪৭তম ব্যাচের কর্মীদের হলের গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।হলটির ৪৭তম ব্যাচের এক ছাত্রলীগকর্মী বলেন, গেস্টরুমে আইন বিভাগের তুরাগ, ইতিহাস বিভাগের কেফায়েত সরকার ও রাজনীতি বিভাগের তানভির, পদার্থবিজ্ঞানের হাবিব এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের রবিন আমাদেরকে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষিসহ লাথি মারতে থাকে।
এতে আমাদের কয়েক বন্ধু আহত হয়। হলের ৪৫তম ব্যাচের ছাত্রলীগকর্মীরা রড, স্ট্যাম্প, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিচে নেমে আসে। এরপরই হলের কয়েকটি কক্ষ ও মসজিদের ফুলের টব ভাঙার শব্দ পান শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, ‘শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ও দর্শকের স্লেজিংকে কেন্দ্র করে খেলোয়াড়দের মনে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। খেলার আয়োজক কমিটির সদস্য ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কেফায়েত বলেন, ‘৪৫তম ব্যাচের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ৪৭তম ব্যাচ হেরে যায়। ম্যাচ শেষে ৪৭তম ব্যাচ বিপক্ষ দলের আচরণ ও আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাঠ ছাড়ে। আয়োজক কমিটি মাঠে আসতে বললেও পরপর দুটি ম্যাচে তারা মাঠে আসেনি। পরে সমঝোতার জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে বসা হলে ৪৭তম ব্যাচ সিদ্ধান্ত না মেনে উগ্রভাবে রুম থেকে বের হয়ে আসে। পরবর্তীতে তারা মসজিদের সামনে ফুলের টব এবং রুমের গ্লাস ভাঙচুর করে।’ কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার পর ৪৭ ব্যাচের ১৯ জন ছাত্রলীগকর্মীকে হল থেকে বিতাড়িত করে ৪৫ ও ৪৬ ব্যাচের ছাত্রলীগেরকর্মীরা।
বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী অলক কুমার পাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে ৪৬তম ব্যাচের সিনিয়ররা ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘হলের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি হলের অভ্যন্তরীণ হওয়ায় হল প্রশাসন দেখবে। এর বাইরে কোনো প্রয়োজন পড়লে আমরাও সহযোগিতা করবো।’ শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর