× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে শিপলুর যে ছবি ভাইরাল

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার

পিতা কামরানের মতোই জনসেবায় অদম্য সিলেটের ডা. আরমান আহমদ শিপলু। পারিবারিক উদ্যোগে পিতার মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন জনসেবা। মানুষের প্রয়োজনে তিনি ছুটেও চলেছেন অবিরাম। তার এই সেবা কার্যক্রম নগরের মানুষের কাছে প্রশংসিত হলেও দলীয় ফোরামে শিপলুকে নিয়ে আলোচনা কম হয় না। একা একা হাঁটতে গিয়ে অনেক খেসারতও দিতে হচ্ছে শিপলুকে। কিন্তু এতে বিচলিত নয় সিলেটের কামরানপুত্র ডা. আরমান আহমদ শিপলু। পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রাখতে তিনি মানবসেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। গত দু’দিন ধরে কামরানপুত্র শিপলুর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে।
ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে; শিপলু জড়িয়ে ধরে আছেন বৃদ্ধা এক মহিলাকে। দু’জনই আবেগ আপ্লুত। বেশি আবেগ আপ্লুত ওই বৃদ্ধা মহিলা। চোখের কোণে জমেছে পানিও। ছবিটি গত বৃহস্পতিবারের তোলা। ওইদিন বিকালে সিলেট নগরীর কলবাখানী এলাকায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করতে যান ডা. আরমান আহমদ শিপলু। এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. আরমান আহমদ শিপলু। কম্বল বিতরণের এক পর্যায়ে ষাটোর্ধ্ব এক মহিলা শিপলুর দিকে এগিয়ে আসেন। কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন- ‘আপনি মেয়র সাবের ছেলেনি।’ শিপলু এগিয়ে গিয়ে ‘জ্বি’ বলতেই কেঁদে ফেলেন ওই বৃদ্ধা। শিপলুকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন বৃদ্ধা। এ সময় ওই বৃদ্ধা বলেন- ‘জীবিত থাকতে মেয়র কামরান সাব আমাদের কতো সাহায্য করেছেন। এমন এক রোগ এলো, মৃত্যুর পর একবারের জন্য মেয়র সাবকে দেখতে পেলাম না।’ এ সময় শিপলু মায়ের বয়সী ওই বৃদ্ধাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন। জানান, ‘আব্বার জীবদ্দশায় আমাদের মানবসেবার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এ কারণে আমি এখন থেকে আপনাদের সঙ্গে আছি। সুখে, দুঃখে আপনাদের কাছে থাকবো।’ শিপলুকে দেখে আরও কয়েকজন বৃদ্ধা এগিয়ে এসে কামরানপত্নী আসমা কামরানের কথা জিজ্ঞেস করেন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু জানান, ‘সিলেটের মানুষ আমার পিতাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। আমি যেখানেই যাই আব্বুর কথা শোনামাত্র সবাই এগিয়ে আসেন। আমাকে আপন করে নেন। আমিও ওদের মাঝে আমার আব্বুর ছায়া খুঁজে পাই। এ কারণে কামরান পরিবারের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে সব সময় আছি, থাকবোও।’ এবারের বিজয় মাস শুরু হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের পক্ষে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রায় ৬ হাজার কম্বল ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ছাড়াও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও বেশ কিছু কম্বল দিয়েছেন। আর শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল নিশ্চিত হওয়ার পর ডা. শিপলু বিজয়ের মাসের প্রথমদিন থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেন। ১লা ডিসেম্বর তিনি নগরীর কীন ব্রিজের আলী আমজদের ঘড়ির নিচ থেকে এই কার্যক্রম আনষ্ঠানিক শুরু করেন। এরপর কলবাখানী এলাকার মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন। গতকাল রাতে তিনি নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভাসমান মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছেন। মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত বছর ১৫ই জুন হঠাৎ করে মৃত্যুবরণ করেন সিলেটের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। স্ত্রী আসমা কামরান সহ তিনি বাসায় করোনায় আক্রান্ত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হলে ১৫ই জুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কামরান। হঠাৎ করে কামরানের মৃত্যুতে গোটা পরিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি কামরানপত্নী আসমা কামরান। তবে পিতার মৃত্যুর শোক কাটিয়ে পিতার মতো মানবসেবায় মনোনিবেশ করেছেন ডা. শিপলু। করোনাকালে পরিবারের উদ্যোগে পিতার মতো খাদ্য সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে ছিলেন। ঈদ পার্বণেও একই ভাবে পিতার মতো আয়োজন করেন। জাতীয় দিবসে পরিবারের উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকেন। এ কারণে এবারের কম্বল বিতরণের একটি ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। আর এতে প্রশংসায় ভাসছেন শিপলু নিজেই।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর