× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভ্যাকসিন নেননি, কোভিডে মৃত্যুর আগে হৃদয়বিদারক চিঠি লিখে গেলেন বাবা

অনলাইন

মানবজমিন ডিজিটাল
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ৬, ২০২১, সোমবার, ৩:৩৮ অপরাহ্ন

ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করার পরে কোভিড -১৯ থেকে আর সেরে ওঠেননি। মারা যাওয়ার আগে নিজের সুস্থ, সবল ভাইয়ের শেষ বার্তাটি মানুষের সঙ্গে শেয়ার করলেন তাঁর হতভাগ্য বোন। বছর বিয়াল্লিশের জন আইয়ার্স ভেবেছিলেন তিনি তো সুস্থ্, ফিট তাঁর আবার ভ্যাকসিনের কি দরকার? যদি ভাইরাসের কবলেও পড়েন তাহলে বড়জোড় মৃদু উপসর্গ দেখা যাবে। কিন্তু তা যে প্রাণঘাতী হবে সে বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি জন। লিভারপুল ইকো রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি করার ৪ সপ্তাহ পর জন যখন মারা গেলেন তখন পরিবারের মাথার ওপর কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছিল। এই সপ্তাহে দ্য গার্ডিয়ানের সাথে কথা বলার সময়, জেনি হাসপাতালে শুয়ে থাকা অবস্থায় তার ভাই জনের কাছ থেকে পাওয়া শেষ বার্তাটি প্রকাশ করেছিলেন। চোখ বোজার আগে জেনির সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন জন। মেসেজ করে জানিয়েছিলেন, ডাক্তাররা যেন তাঁর ক্ষেত্রে হাল না ছেড়ে দেন।
এটিই ছিল জনের পাঠানো শেষ মেসেজ, তারপরেই ২৭ জুলাই তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে থাকাকালীন, ধীরে ধীরে জনের অঙ্গগুলি কাজ করা বন্ধ করতে শুরু করে। জেনি জানাচ্ছেন তাঁর ভাই নিজের ফিটনেসের বিষয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে মাঝে মাঝেই বলতেন মৃত্যু তাঁকে সহজে কাবু করতে পারবে না। তিনি ভেবেছিলেন যদি তিনি কোভিড -১৯ সংক্রামিত হন তবে তিনি ঠিক হয়ে যাবেন। ভেবেছিলেন এটি হয়তো একটি হালকা অসুখ। তাই ভ্যাকসিন নিতে চাননি। জেনি জানিয়েছেন ভেন্টিলেটরে যাওয়ার আগে তাঁর ভাই চেয়েছিলেন টিকা নিতে, ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। অনলাইনে নিজের ভাইয়ের কথা জানাতে গিয়ে জেনি লিখেছেন কোভিড পজিটিভ হওয়ার ৪ সপ্তাহের মাথাতেই তাঁর ভাই জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে সবরকম চেষ্টা করা হলেও চিকিৎসকরা জনকে বাঁচাতে ব্যর্থ হন। নানারকম ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও শেষমেশ সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে জনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং তার মৃত্যু হয়। জনের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। ৪২ বছরের জন রেখে গেলেন তাঁর মা-বাবা, এক বোন (জেনি) এবং ১৯ বছরের এক কন্যা সন্তানকে। জেনি জানাচ্ছেন, ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তাঁর মা চেয়েছিলেন গোটা বিষয়টি সামনে আসুক, লোকে জানুক ভ্যাকসিন না নিলে পরিণতি কি হয়। আর যেন কোনো মায়ের কোল খালি না হয়। তাই অনলাইন নিজের ভাইয়ের কথা সবার সামনে তুলে ধরেছেন জেনি। জনের মেয়ে, মেসি ১৯ আগস্ট তার বাবাকে শ্রদ্ধা জানান। সেই সঙ্গে যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি তাঁদের উদ্দেশে কাতর আবেদন জানিয়ে বলেন: ''প্লিজ, প্লিজ, দয়া করে আপনারা সকলেই ভ্যাকসিন নিয়ে নিন। ভ্যাকসিন না নিলে কি হয় তা আমি চোখের সামনে দেখেছি। হাসপাতালের বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে বাবার কষ্ট দেখেছি। আমার বাবা চিরকাল আমার কাছে আমার নায়ক হয়েই থাকবেন।''

সূত্র : mirror.co.uk
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Md. Kamruzzaman
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ২:১৬

শরীর আল্লাহ পাকের দান । এ নিয়ে কোন বড়াই করতে নাই । যার উদাহরন এটি ।

mamun
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৫৩

Mr. Kazi is right. Please take Vaccine but don't stop using Mask. Wearing Mask is the best way to prevent the Covid-19. Washing hand with soap also need to add into our lifestyle. Be safe and save others.

Kazi
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ২:৪৬

দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ও কভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আমার ছোট বোন । ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল এলাকায় থাকত । ভ্যাকসিন নয় মাস্ক পরা বেশি দরকার । PREVENTION IS BETTER THAN CURE. VACCINE FAILED TO PREVENT BUT MASK CAN PREVENT.

অন্যান্য খবর