× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীনে ২০২২ অলিম্পিক ‘কূটনৈতিক বর্জনের’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ৭, ২০২১, মঙ্গলবার, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে ২০২২ সালের শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিক ‘কূটনৈতিকভাবে বর্জনের’ ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়েছে, ওই গেমসে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে না। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেটরা অংশ নিতে পারবেন এবং তাদের প্রতি সরকারের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

আগেই চীন জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র এই ইভেন্ট বর্জন করলে তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। কারণ, গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, তিনি চীনের শীতকালীন অলিম্বিক গেমস ‘কূটনৈতিকভাবে বর্জনের’ কথা ভাবছেন। সে কথাই সোমবার নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন পসাকি। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন অলিম্পিকের ধুমধাম অনুষ্ঠানে কোনো অবদান রাখবে না। সিনজিয়াংয়ে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নৃশংসতা চালাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন।


এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র যেমন অবস্থান নিয়েছে, সেই অবস্থানে থেকেই কূটনৈতিক বা সরকারি প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেছেন, আমরা এতে প্রতিনিধি পাঠাতে পারি না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেটদের এতে অংশ নেয়ায় বাধা দেয়ার মধ্য দিয়ে তাদেরকে শাস্তি দেয়া যথার্থ হবে বলে মার্কিন সরকার মনে করে না। কারণ, তারা এ প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালের অলিম্পিক গেমসে কোনো সরকারি প্রতিনিধি পাঠাবে না।

এ বক্তব্যের জবাবে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস বলেছে, এই বর্জন অলিম্বিক সনদের চেতনার বিরুদ্ধে এক মারাত্মক বিকৃতি। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক বা সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে ইঙ্গিত করে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংয়ু বলেছেন, এসব মানুষ চীনে যান বা না যান, সে বিষয়ে কেউ পরোয়া করে না। বেইজিং ২০২২ শীতকালীন অলিম্পিকের সফলতার ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাজনীতিককে এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। তাই এই ‘কূটনৈতিক বর্জন’ কোনো কাজে আসবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্জনের ঘোষণার আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার নিজস্ব পথ বেছে নেয় তাহলে চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, শীতকালীন অলিম্পিক গেমস কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা রাজনৈতিক কারসাজির মঞ্চ নয়।

চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবো’তে মঙ্গলবার সকাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক বর্জনের বিষয়ে সার্স দিয়ে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে এরই মধ্যে সেন্সরশিপ আরোপ করেছে ওয়েইবো। রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে একটি পোস্টের নিচে এ নিয়ে অনেক মন্তব্য এসেছে। কিন্তু তার বেশির ভাগই মুছে দেয়া হয়েছে। ১৫০০ মন্তব্যের মধ্যে মাত্র আটটি রেখে বাকিগুলো মুছে দেয়া হয়েছে। একটি মন্তব্যে বলা হয়েছে, অলিম্পিক হলো অ্যাথলেটদের। এ নিয়ে রাজনীতিকদের কি এসে যায়? যদি আপনি বর্জন করেন, তাহলে তাতে আপনার নিজের দেশে মানুষেরই ক্ষতি করছেন।

অলিম্পিক গেমসের এমন অনুষ্ঠানে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলোর উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। এ বছর শুরুর দিকে টোকিওতে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর