× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মালালা-ব্লিনকেন বৈঠক: আফগান নারীদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ৭, ২০২১, মঙ্গলবার, ৩:৫০ অপরাহ্ন

আফগানিস্তানের বালিকারা স্কুলে এবং নারীরা যাতে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নারী শিক্ষার অগ্রদূত ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে সোমবার সাক্ষাত করে এ আহ্বান জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।

তালেবানদের হত্যা চেষ্টার পর জীবনমৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে বেঁচে যান মালালা। তারপর থেকেই তিনি নারীদের সমঅধিকারের দাবিতে কাজ করে যাচ্ছেন। বলেছেন, নারী শিক্ষায় সমতা নিয়ে কথা বলতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেন। এ নিয়ে অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে তার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়।

তার আগে মালালা বলেন, বিশ্বে আফগানিস্তান এখন একমাত্র দেশ, যেখানে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ নেই। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অধিকার নেই। আমি তাই আফগানিস্তানের মেয়েদের সঙ্গে এবং নারী অধিকারকর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
তাদের কাছ থেকে একটি বার্তাই পেয়েছি। তা হলো, তাদেরকে কাজ করার অধিকার দেয়া উচিত। তাদের স্কুলে ফেরা উচিত।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে আফগানিস্তানের ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে সতোদা’র লেখা একটি চিঠি জোরে পরে শোনান। মালালা পড়েন- সে লিখেছে, স্কুল এবং ইউনিভার্সিটিগুলো মেয়েদের জন্য বন্ধই আছে। এগুলো আমাদের ভবিষ্যত আশার ওপর ছায়া ফেলছে। শান্তি এবং নিরাপত্তা আনার জন্য শাক্তিশালী একটি হাতিয়ার হলো মেয়েদের শিক্ষা। যদি মেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারে, তাহলে আফগানিস্তান আরো দুর্ভোগে পড়বে।

১৫ই আগস্ট তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। তারপর তারা মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণ এবং নারীদের সুনির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ অথবা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তালেবানরা নারী শিক্ষার কথিত একটি ডিক্রি জারি করেছে। মেয়েদের বিয়ে এবং সম্পদ বিষয়ে আইন জারি করেছে। এতে নারীদের কর্মসংস্থান বা শিক্ষার কথা উল্লেখ নেই।

এ অবস্থায় ব্লিনকেনকে ইউসুফজাই বলেন, আমরা আশা করি জাতিসংঘকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে এমন পদক্ষেপ নেবে, যাতে মেয়েরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুলে ফিরতে পারে। নারীরা কর্মক্ষেত্রে যেতে পারেন। শিক্ষা সহায়ক সব রকম মানবিক সহায়তা যাতে দেয়া হয়। মালালা আরো বলেন, আমরা জানি এসব ইস্যু চ্যালেঞ্জিং। আমরা চাই শিক্ষা, শিক্ষকদের বেতনের দিকেও আরো দৃষ্টি দেয়া হবে।

জবাবে মালালা ইউসুফজাইকে একজন অনুপ্রেরণাদায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। বলেন, মালালার সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলার জন্য তিনি খুব আগ্রহী ছিলেন। তার কাছ থেকে কথা শুনতে চেয়েছেন। কিভাবে আরো ভালভাবে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা যায়, সে সম্পর্কে কার্যকর ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জেনেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর