স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করলো ঢাকা আবাহনী। গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ৩-১ গোলে হারায় রহমতগঞ্জকে। দুই জয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেরা দল হিসেবে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা আবাহনী। এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে নকআউট পর্বে উঠেছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। টানা দুই হারে ছিটকে গেছে রহমতগঞ্জ। গতকাল বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ঢাকা আবাহনী। তবে দুই ব্রাজিলিয়ান তারকা দোরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তো ও রাফায়েল অগাস্তো ডি সিলভার নৈপুণ্যে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে তারা। নাসিমেন্তো করেন জোড়া গোল।
রাফায়েলের পা থেকে অন্য গোলটি।
ত্রয়োদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে রহমতগঞ্জ। মাহমুদুল হাসান করিমের থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন ফিলিপ আজাহ টেট্টি। কিন্তু ঘানার এই ফরোয়ার্ডের তাড়াহুড়ো করে নেওয়া শট দূরের পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়। ১৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। এবার আশরাফুল ইসলামের থ্রু পাস ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা টেট্টি দুই দফা ট্যাকলের শিকার হয়ে পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে কাট ব্যাক করেন। গোলমুখে এনামুল হোসেনের প্লেসিং শটে বল টুটুল হোসেন বাদশার পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
রহমতগঞ্জের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র তিন মিনিট। নাসিমেন্তোর স্পট কিক বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়েও ফেরাতে পারেননি জিয়াউর রহমান। দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরাকে বক্সে মোহাম্মদ তারেক ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আবাহনী। ২৯তম মিনিটে ভালো সুযোগ নষ্ট হয় ১৯৯০ সালে সবশেষ এ প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতা আবাহনীর। পাল্টা আক্রমণে নাসিমেন্তোর পাস ধরে বক্সে ঢুকেই শট নেন রাকিব হোসেন। বল বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে। ৪১তম মিনিটে দুই পায়ের মোচড়ে রেইনবো ফ্লিকে বল বের করে নিতে চেয়েছিলেন টেট্টি। বল লাগে বাদশার হাতে। পেনাল্টি পায় রহমতগঞ্জ। কিন্তু টেট্টির শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক মেহেদি হাসান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে রহমতগঞ্জের রক্ষণে চাপ দেওয়া আবাহনী এগিয়ে যায় ৫১তম মিনিটে। ইমন মাহমুদের থ্রু পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা দি সিলভা বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন গোলমুখে। দারুণ ব্যাক হিলে ঠিকানা খুঁজে নেন নাসিমেন্তো। দি সিলভার স্পট কিকে ৭০তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ে। এই ব্রাজিলিয়ানকেই বক্সে ফাউল করেছিলেন সানোয়ার হোসেন। হ্যাটট্রিক পূরণের সুযোগ থাকলেও পেনাল্টি নিতে চাননি নাসিমেন্তো; বল তুলে দেন স্বদেশি দি সিলভাকে। আবাহনীর হয়ে এ নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেললেন কলিনদ্রেস। কিন্তু কোস্টা রিকার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা এই ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্স পুরোটা সময়ই ছিল সাদামাটা। কোয়ার্টার-ফাইনালে আবাহনী মুখোমুখি হবে ‘সি’ গ্রুপের রানার্সআপ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। সেরা আটে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের প্রতিপক্ষ ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন সাইফ স্পোর্টিং।