× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রিংলার ব্যস্ততম দিন /‘ভারত নিরাপদ না থাকলে বাংলাদেশ অনিরাপদ’

প্রথম পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার

ঢাকা সফরের প্রথম দিনে সিরিজ কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠক ছিল পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। প্রায় ৫০ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার বার্নিং ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলেন তারা। দ্বিপক্ষীয় ওই আলোচনায় বাংলাদেশ-ভারত ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী দিনগুলোতে কীভাবে আরও সম্পর্কোন্নয়ন করা যায়- তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমির ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুই পররাষ্ট্র সচিব। কোভিড পরিস্থিতি যৌথভাবে মোকাবিলার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কখনোই নিরাপদ থাকবে না, যদি ভারত নিরাপদ না থাকে এবং একই কথা ভারতের জন্যও প্রযোজ্য। যৌথ ব্রিফিংয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের অমীমাংসিত ও বহুমাত্রিক অনেক বিষয় রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
সামনের দিনে কীভাবে এগিয়ে যাবো, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি বছর মার্চে ঢাকা সফর করেছেন এবং ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ  এ মাসেই ঢাকা আসছেন জানিয়ে সচিব বলেন, একই বছরে ভারতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বাড়তি তাৎপর্য রয়েছে। এটি একটি অনন্য ‘রেকর্ড’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সোমবার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস যৌথভাবে পালন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে একটা স্বর্ণযুগ চলছে। সেখানে সংযুক্তিসহ সামনের দিনের যে বিষয়গুলো আছে, পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে সহযোগিতা, নতুন নতুন প্রযুক্তি সেগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। কীভাবে আরও অগ্রসর হতে পারি, তা নিয়ে কথা বলেছি। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, একইভাবে অমীমাংসিত বিষয় যেগুলো আছে, সেগুলোর কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের সীমান্ত কীভাবে আরও শান্তিপূর্ণ করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের বাণিজ্য বাড়ানো, করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনার আরও নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে। তাই এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলায় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বলেন, বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করেছি। সন্ধ্যায় ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে। ডিসেম্বর মাস বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ১৬ই ডিসেম্বর উদ্‌?যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশে আসবেন। শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ভালোভাবে যাচ্ছে। দুই দেশের একসঙ্গে উদ্‌?যাপন বিরল। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ ১৯৭১ সালে জীবন উৎসর্গ করেছিল। স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছিল। আপনাদের বিজয় দিবসের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে আসছেন। এটা তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর। গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় এসেছিলেন। সেটি ছিল কোভিডের সময় তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। এতে সম্পর্কের তাৎপর্য প্রতিফলিত। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি। দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে বড় কোনো বাধা নেই। কীভাবে সামনের দিনগুলোতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যুক্ত। এতে দুই দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। কনেক্টিভিটি বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, ১৯৬৫ সালের আগের ছয়টি সংযুক্তির মধ্যে পাঁচটি চালু হয়েছে, ষষ্ঠটি আগামী বছর শেষ হবে। আখাউড়া-আগরতলা নতুন প্রকল্প আগামী বছর চালু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত দিল্লি সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা চাই তিনি ভারত সফর করুন। গত মার্চে ঢাকা সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এটি এখনো বহাল। দুই দেশের মধ্যে এ সফর সুবিধাজনক কোনো সময়ে করা যায়, তা নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশেষ করে ওমিক্রনের কারণে উদ্বেগ আছে। তবে যত শিগগির সম্ভব তিনি ভারত সফর করুন। আমরা তার সফরের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। দুইদিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় আসেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, তিনি দুপুরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপর বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে (বুধবার) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এদিনই তিনি দিল্লি ফিরে যাবেন।
সহযোগিতার নতুন খাত নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ঢাকা-দিল্লি: পানি ও বাণিজ্য ছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্থল ও সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের বিষয়গুলো গত ৫০ বছরে সুরাহা হয়েছে। এখন ভবিষ্যতে নতুন সহযোগিতার খাত নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী দু’দেশ। যার মধ্যে রয়েছে কানেক্টিভিটি, গ্রিন এনার্জি, প্রযুক্তি, মহাকাশ বিদ্যা, নিউক্লিয়ার প্রযুক্তিসহ আরও কিছু বিষয়। সামনের দিনগুলোতে ঝুলে থাকা বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধানের পাশাপাশি নতুন খাত নিয়ে কাজ করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মধ্যে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দুই সচিবের বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অনিষ্পন্ন কিছু বিষয় রয়েছে। সেগুলো ভারতকে আমরা মনে করিয়ে দিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে তিস্তার পানি-বণ্টন চুক্তি, কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন, গঙ্গার পানি ব্যবহারের জন্য যৌথ স্টাডিসহ অন্যান্য বিষয়। এর মধ্যে কুশিয়ারার পানি উত্তোলন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়া গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতকে দেওয়া হয়েছে এবং জানানো হয়েছে ভারতের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের আগে এটি নিষ্পন্ন হলে ভালো হয়। তিনি আরও বলেন, কোভিড সহযোগিতা বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। কোভিডের কারণে দু’দেশ তাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করেছিল। এখন যেকোনো পরিস্থিতিতে সাবধানতার সঙ্গে সীমান্ত উন্মুক্ত রাখতে চায় উভয়পক্ষ। ওই কর্মকর্তা বলেন, রেলপথ সহযোগিতা বিষয়ে দু’পক্ষ আগ্রহী। কারণ এটি কম দূষণ করে এবং সাশ্রয়ী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুব সমপ্রদায়ের মধ্যে হতাশা বাড়ছে এবং সেখানে অশান্তি তৈরি হলে আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়বে বলে হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে সাবধান করেন পররাষ্ট্র সচিব। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়ের সঙ্গেই সীমান্ত আছে ভারতের এবং এ নিয়ে আরও কাজ করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন মাসুদ বিন মোমেন। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও দুইপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে আরও সতর্ক হবে ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে ভারতের বিদেশ  সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত আরও বেশি সতর্ক হবে, এ বিষয়ে তারা একটি ফর্মুলা দিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যাহ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই সাক্ষাৎ-বৈঠক শেষে মন্ত্রী গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন। সেখানে তিনি বলেন, সীমান্ত বিষয়ে সচিব নিজেই বলেছেন- এ বিষয়ে তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। ভারতের তরফে এ নিয়ে একটি ফর্মুলা দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাতে করে ঝামেলা না হয়। দিনের শুরুতে সব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ভারতের ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো নিয়ে তারা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী মোমেন বলেন, ভারত এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না, যা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চমৎকার ‘সোনালি অধ্যায়’-এ ফাটল ধরাতে পারে। ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত হত্যা ও পানি বণ্টনসহ বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয়ে আমাদের সংক্ষেপে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। ছোটখাট সমস্যা পানিবণ্টন ইত্যাদি আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবো। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। এ মধুর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে দু’দেশ একসঙ্গে কাজ করে যাবে আশা করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারত সরকার ১৯৭১ সালে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসার মধ্যে দিয়ে আবারও সম্মানিত করেছে। আগামী বছর প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত দিল্লি সফর বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সময় হলে তা জানানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোমেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানে পরবর্তী যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য বাংলাদেশ ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
ওবাইদুল
৯ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৬:০২

বরঞ্চ এই ভাবে বললে কথাটা যুক্তিযুক্ত হত, বাংলাদেশ স্থিতিশীল না ন্থাকলে ভারতও স্থিতিশীল না থাকার সম্ভাবনা বেশী। তবে উপমহাদেশে ভারত যে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার জন্য বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল করছে তাঁর ভুরি ভুরি প্রমান আছে।

Professor Dr, Mohamm
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ৪:৫৭

মৈত্রী দিবস উদযাপন উপলক্ষে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব মহোদয়ের বক্তব্বের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভারতের সেনারা তাদের রক্ত দিয়েছে ; সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ । কিন্তু দুঃখের বিষয় , ১৯৭১ এ ভারতীয়দের রক্ত দেয়া শেষ হলেও ভারতীয়দের কাছে বাংলাদেশীদের রক্ত দেয়া এখন শেষ হয়নি । উল্লেখ্য, বি এস এফ বাংলাদেশীদের জন্য শুট – অন – সাইট বা “দেখা মাত্র গুলি” নিয়ম পালন করে ২০০১-২০০১ সাল পর্যন্ত ১০০০ মানুষকে হত্যা করেছে। তবে কত মানুষকে তারা পঙ্গু করেছে বা অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার হিসাব আমাদের কারো কাছে নেই, এক মাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া। তা ছাড়া, কখন ও কখনও বি এস এফ বাংলাদেশের সিমান্তের অপারে বসবাস রত ভারতীয়দের দারাও এ দেশের মানুষ বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলে, তার হিসাব ও আমাদের অজানা । কি দুর্ভাগ্য আমাদের, ভারতীয়রাএই সমস্ত হত্যার জন্য কাউকে যে শাস্তির আওতায় আনতে পেরেছে তাও আমার জানা নেই । আশা করি বন্ধুত্তের ৫০ বছর পূর্তিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চীন –ভারত সীমান্তের মত কোন ভারি অস্ত্র ব্যাবহার করা হবেনা সে ব্যাপারে বন্ধুত্তের একটা চুক্তি থাকা উচিত এবং আজ থেকে আর সেখানে কোন নরহত্যা হবে না ।

অন্যান্য খবর