× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংবাদপত্র শিল্পে সহযোগিতা দরকার: এ কে আজাদ

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ৭, ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৫৭ অপরাহ্ন

নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, ‘সরকারের নীতি সহায়তা না থাকা এবং বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সংবাদ পত্র দিন দিন রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সুরমা হলে ‘দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের ভূমিকা : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। নোয়াবের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। এতে সভাপত্বি করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সভায় এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, নোয়াব সদস্য এবং সংবাদপত্রের সম্পাদক ও মালিকগণ অংশগ্রহণ করেন। নোয়াব সভাপতি বলেন, এফবিসিসিআইয়ের নিকট সদস্য সংগঠন হিসেবে একটি প্রত্যাশা, বেশ কিছু সমস্যা আমাদের সংবাদ পত্রে রয়েছে। এতগুলো নিউজ পেপার। আস্তে আস্তে কিন্তু রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে।
কেন রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে? তার কারণ হলো কাগজের উচ্চ মূল্য। কাগজের দাম আস্তে আস্তে বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের যেসব সাংবাদিক বন্ধুরা রয়েছেন এবং কর্মকর্তা কর্মচারি রয়েছেন, তাদের বেতনও প্রতি বছর-বছর বাড়ছে। এছাড়া, একটি সংবাদ পত্রের খরচ হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা। আপনারা কিনেন ১০ টাকায়। আমরা পাই সাড়ে ৬ টাকা। বাকি টাকা হকারকে দিয়ে দিতে হয়। এই যে সাড়ে ৬ টাকা, তা’ দীর্ঘদিন কিন্তু অনাদায়ি থাকে। তাহলে প্রশ্ন আসবে বাকি টাকা আমরা কীভাবে যোগাড় করি? এটি করি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন- করোনার কারণে দুই-আড়াই বছর ধরে ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা খুব খারাপ গেছে। এ সময়ে আমাদের এক পাক্ষিক অনেক মূল্য ছাড় দিতে হয়েছে। টাকা অনাদায়ি থেকেছে। যে জন্য এই শিল্পটা আস্তে আস্তে রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে।
সরকারের নীতি সহায়তার বিষয়ে একে আজাদ বলেন, করোনার কারণে সবগুলো শিল্প কম-বেশি সহায়তা পেয়েছে। আমরা সংবাদপত্র শিল্প কিন্তু পাইনি। সদস্যদের পরামর্শ নিয়ে আমি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে জানিয়েছি, যেন আমাদেরকে এই সহায়তার মধ্যে আনা হয়। একই বিষয়ে মূখ্য সচিব ও মন্ত্রীপরিষদ সচিবকে জানিয়েছি, কিন্তু আমরা ঋণের অধিকারী হইনি।
হকার সমস্যা সমাধানের জন্য সিটি করপোরেশন এবং এফবিসিসিআইকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে নোয়াব সভাপতি বলেন, হকাররা আপনাদের কাছে সংবাদ পত্র পৌঁছে দেন। তাদের বসার কোনো জায়গা নেই। এজন্য সিটি করপোরেশন ও এফবিসিসিআইয়ের সহায়তা দরকার। আপনারা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন বলে আশাকরি।
মতবিনিময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, দ্য ফাইন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদসহ এফবিসিসিআইয়ের কর্মকর্তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর