ম্যাচের আগে কার্লো আনচেলত্তি বলেছিলেন, দলের উচ্চাকাক্সক্ষার সুবাদেই ইউরোপ সেরার মঞ্চে সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে কোচের কথার মান রাখলেন রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলাররা। মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোরা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১২ ম্যাচে অপরাজিত রিয়াল। আর চ্যাম্পিয়নস লীগে টানা চার ও মোট পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হলো কার্লো আনচেলত্তির দল। তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের রানার্সআপ ইন্টার মিলান।
প্রথমার্ধ জুড়ে আক্রমণে ধার দেখায় ইন্টার মিলান। তবে রিয়ালের জমাট বাধা রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয় মিলানের ক্লাবটি। উল্টো টনি ক্রুসের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষাংশে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কো অ্যাসেনসিও।
ক্লাব ফুটবলের দুই পরাশক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে জমজমাট হবে তা অনুমেয়ই।
মাঠেও দেখা গেলো তা, বল দখল কিংবা আক্রমণÑ সমানতালে লড়াই করেছে দুই দল। ৫১ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৫টি শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। যার লক্ষ্যে ছিল ৫টি। অপরদিকে ৪৯ শতাংশ বল দখলে রাখা ইন্টার মিলান শট নেয় ১৭টি, লক্ষ্যে ছিল ৩টি।
১৭তম মিনিটে টনি ক্রুসের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। রদ্রিগোর পাস ধরে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরের পোস্টে ঠিকানা খুঁজে নেন জার্মান মিডফিল্ডার।
পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় ইন্টার মিলান। প্রথম ৩৫ মিনিটে বল দখলে দাপট দেখিয়ে গোলের উদ্দেশ্যে ১২টি শট নেয় তারা, তবে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ১টি।
বিরতির আগ মুহূর্তে অল্পের জন্য বেঁচে যায় ইন্টার মিলান। ডি-বক্সে রদ্রিগোর শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ক্ষানিক বাদে ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকারের শট পাশের জাল কাঁপায়।
৬৪তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ইন্টার মিলান। রিয়াল মাদ্রিদের এদের মিলিতাওয়ের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন মিলান মিডফিল্ডার নিকোলো বারেল্লা।
দশ জনের দল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগান মার্কো অ্যাসেনসিও। ৭৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে দানি কারভাহালের ছোট পাস ধরে স্কোরশিটে নাম তোলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।