হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলেন মালয়েশিয়ার আপিল কোর্ট। ফলে মুক্তি পেলেন না মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। কয়েক শত কোটি ডলার দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গত বছর অভিযুক্ত করে হাইকোর্ট। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ১২ বছরের জেল ঘোষণা করা হয়। সেই রায়ই আজ বুধবার বহাল রেখেছে মালয়েশিয়ার পালি কোর্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয় নাজিব রাজাকের। রাষ্ট্রীয় ১এমডিবি তহবিলের কমপক্ষে ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসআরসি
ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এ অভিযোগে অভিযুক্ত করে গত বছর তাকে ১২ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন নাজিব রাজাক।
ওই আপিলের বিষয়ে প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজয়ায় আপিল আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা করেন বিচারক আবদুল করিম আবদুল জলিল। তিনি বলেন, আপিল আবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। একই সঙ্গে সব শাস্তি বহাল রাখার পক্ষে রায় ঘোষণা করছি।
ওদিকে ৬৮ বছর বয়সী নাজিব রাজাক আপিল করায় এতদিন জামিনে ছিলেন। এ সময়ে আদালত তাকে মুক্ত ঘোষণা করে, যতক্ষণ সর্বোচ্চ আদালত ফেডারেল কোর্ট থেকে আপিলের রায় না আসবে। নিয়ম অনুযায়ী, এখন নাজিব রাজাকের জেলে যাওয়ার কথা। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থপাচারের বেশ কয়েকটি অভিযোগ এবং আস্থাভঙ্গের ফৌজদারি অপরাধ।
আজ বুধবার রায় ঘোষণাকালে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে বাসা থেকেই আদালতের সঙ্গে যুক্ত হন নাজিব রাজাক, তার প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ ও অন্য আইনজীবীরা। করোনা ভাইরাস সতর্কতার জন্য তারা বাসায় বসে এতে অংশ নেন। এ সময় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কালো স্যুট পরা। বিচারক আবদুল করিম আবদুল জলিল রায় পড়া শুরু করলে তাকে কিছুটা আবেগতাড়িত দেখায়। আপিলে দাবি করা হয়েছিল, জাতীয় স্বার্থের জন্য নাজিব রাজাক দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু ব্যাংকের অর্থ ব্যক্তিগত একাউন্টে নেয়া সম্পর্কে বিচারক আদালতে বলেন, এ বিষয়টি এমন কোনো কিছুই না, যা রাষ্ট্রের স্বার্থে করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় কোনো স্বার্থই নেই। এর মধ্য দিয়ে জাতিকে বিব্রত করা হয়েছে শুধু।