× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন কাজ ফেব্রুয়ারিতে: তাপস

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ৮, ২০২১, বুধবার, ৬:০৭ অপরাহ্ন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস হতে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন কাজ শুরু করা হবে। আমরা কামরাঙ্গীরচরে একটি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবো। যাতায়ত সুবিধা নিশ্চিত  করার জন্য ভবিষ্যত কার্যক্রম মাথায় নিয়ে দুটো সেতু আমাদেরকে করতে হবে। যাতে করে মূল ঢাকার সাথে সেটার সংযোগ নিশ্চিত হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কোথায় কোথায় সেতু করবো, সেই বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদ ও আমাদের প্রধান প্রকৌশলীসহ পরিদর্শনে এসেছি। তার সাথে আনুষঙ্গিক সড়ক ব্যবস্থা কি করতে হবে, সে বিষয়গুলোও আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করলাম। আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন কাজ শুরু করতে এরই মাঝে আমাদের কার্যক্রম হতে নিয়েছি।
বুধবার দুপুরে নগরীর কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লোহারপুল এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা নদীপথের (চ্যানেল) উপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে তাপস এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা নদীর অংশবিশেষ দখলমুক্ত করা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহ থেকেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচলনা করবে এবং আদি বুড়িগঙ্গার যে অংশ এখনও দখল অবস্থায় আছে সেগুলো দখলমুক্ত কার্যক্রম হাতে নেবো।
মহাপরিকল্পনার আওতায় কার্যক্রমগুলো নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তাপস বলেন, প্রত্যেকটা বিষয়ে আমরা নজর দিচ্ছি। কামরাঙ্গীরচরে এই যে নদী খনন, সেতু নির্মানের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বেড়িবাধেঁর সড়কটাকেও ছয় সারিতে রুপান্তরিত করবো। দুই সারি দুই সারি করে মোট চার সারি থাকবে এক্সপ্রেসওয়ে। আর মূল সড়কের সাথে সংযোগ সৃষ্টির জন্য এক সারি এক সারি থাকবে সার্ভিস রোড। সুতরাং আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্যবস্থা ও অন্তর্জাল সৃষ্টির কাজ হাতে নিয়েছি। এটা অনেক বড় কর্মযজ্ঞ। ধীরে ধীরে এটা দৃশ্যমান হবে। অংশ অংশ করে আমরা আগাবো। আমরা শুধু পরিকল্পনা করছি না, সাথে সাথে একশন প্ল্যান নিচ্ছি এবং কাজেও হাত দিচ্ছি। এতে করে এক দিকে আমাদের পরিকল্পনা শেষ হবে, আরেক দিকে আমাদের কাজগুলো চলবে। পর্যায়ক্রমে আমাদের কাজগুলো দৃশ্যমান হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগ একদম নুয়ে পড়েছিল। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা এরই মাঝে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমরা পর্যালোচনা করেছি এবং যারা যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। যদিও সাময়িক অসুবিধা হবে, একটু দুর্ভোগ হতে পারে, তারপরও আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নিয়মিত গাড়ি চালক ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে আমাদের গাড়ি পরিচালনা করবো না এবং আমাদের সম্পদ, আমাদের গাড়ি কাউকে ধরতে দিবো না। এ ব্যপারে আমরা কঠোর। যারা যারা এই নিয়ম ভঙ্গ করে এগুলো করে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো এবং ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের সুযোগ না থাকে, সে জন্য আমরা পুরো সংস্কার করছি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান, মো. খায়রুল বাকের, মুন্সি মো. আবুল হাসেম ও কাজী মো. বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর