× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আইএমও কাউন্সিলে বাংলাদেশকে ভোট দিতে আহ্বান

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ৮, ২০২১, বুধবার, ৮:৩৫ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও)  কাউন্সিলে বাংলাদেশকে সি ক্যাটাগরিতে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে আইএমও’র সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। প্রতিমন্ত্রী ৭ই ডিসেম্বর সন্ধায় লন্ডনে আইএমও’র নির্বাচনী ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান। আগামী ১০ই ডিসেম্বর আইএমও’র কাউন্সিলে ‘সি’ ক্যাটগরির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ মেরিটাইম জাতি হিসেবে সব সময় সক্রিয়। আমরা বঙ্গোপসাগরের বৃহৎ স্টেকহোল্ডার। বিশ্বের বৃহৎ ডেল্টা হিসেবে বাংলাদেশ এখন  মেরিটাইম সেক্টরের সমৃদ্ধি এবং টেকসই ব্লু ইকোনমির প্রবৃদ্ধির উপর ফোকাস করছে। সমুদ্র পথে বাণিজ্য ও পরিবহন কার্যক্রমে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৯৫% ভাগ সমুদ্রপথে হয়ে থাকে। তিনি বলেন, সী’ ফেয়ারার্স এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
১৪টি মেরিটাইম একাডেমি ও ইনস্টিটিউিটের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের ৯টি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে বাংলাদেশ এ বছর একমাত্র  প্রার্থী দেশ। বাংলাদেশ ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হলে এলডিসি, ছোট দ্বীপভিত্তিক উন্নয়নশীল দেশ, ল্যান্ডলক্ড উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ  প্রসারিত করবে। আইএমওতে বাংলাদেশ উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে।  সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট এবং সহযোগিতার মাধ্যমে নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই শিপিং এবং সামুদ্রিক বাণিজ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,  বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে আইএমও’র সদস্যপদ লাভ করে এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে ‘সি’ ক্যাটাগরি এবং ২০০২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আইএমও’র কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তিনি বলেন,  দীর্ঘদিন পর আইএমও কাউন্সিলে আমাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, পরিবেশগত সুরক্ষা এবং শিপিং সেক্টরে দক্ষতা নিশ্চিত করতে আইএমও’র মিশনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে শুধু সাহায্য করবেনা,  আইএমওতে নেতুত্বের ভূমিকাও নিতে পারবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চাহিদা মিটাতে বন্দরগুলোর ভবনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণ, গভীর সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর নীচে টানেল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেটে যথেষ্ট বরাদ্দ রেখেছেন। নতুন এ সমস্ত অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিবেশী ল্যান্ডলক দেশগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে আমাদের দু’টি বড় সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে নৌ বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ বছর বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ বছর। এ বছর আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে মেরিটাইম ভিশন দিয়ে গেছেন। তিনি ১৯৭৪ সালে মেরিটাইম জোনস এ্যাক্ট এবং বাংলাদেশের প্রথম মেরিন একাডেমি দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, কোভিড-এর অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন বিরাজমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারী নীতির কারণে আমাদের অঞ্চলে করোনার প্রাদুর্ভাব কমের দিকে রয়েছে এবং এশিয়ায় ২০২০ সালে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। করোনা মহামারির আগে ও পরে ২০২১ সালে  পাঁচটি দ্রুততম অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অবস্থান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আইএমওতে  বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদা মুনা তাসনীম, আইএমও’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর