দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে ভরে গেছে শ্রীমঙ্গলের রাস্তাগুলো। পর্যটন শহরের চৌমুনা থেকে স্টেশন রোড ও ভানুগাছ সড়কের একাত্তরের বধ্যভূমি পর্যন্ত অংশে পিচ ও পাথর চিপস্ উঠে খানাখন্দে তৈরি হয়েছে।
পৌর শহরের প্রধান সড়কের এমন বেহাল দশায় সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়ক বিভাগ কর্তৃক কিছুদিন পর পর ইটের খোয়া-রাবিশ দিয়ে জোড়াতালি লাগানো রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও সামান্য বৃষ্টি ও যান চলাচলে তা উঠে আবার আগের রূপে ফিরে যায়। চলতি নিম্নচাপজনিত গত দুইদিনের বৃষ্টিপাতের দরুন রাস্তাটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। রাস্তায় সৃষ্ট ছোট বড় গর্তে পানি জমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষদের পায়ে হেঁটে চলাচল করতে বেগ পেতে হয়। যানবাহন চলাচলের ফলে জমে থাকা পানি ছিটকে কাপড় নষ্ট হয় পথচারীদের। এতে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীরা জানান, এই রাস্তাগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ। পর্যটকদের চলাচলে এটাই প্রধান সড়কপথ। খানাখন্দে জীর্ণ এই সড়কে চলাচল করে শ্রীমঙ্গল শহর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে যাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে এই রাস্তা দিয়ে রোগীবাহী যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। টুরিস্টদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান সিএনজি অটোরিকশা চালক ফরিদ মিয়া। ফরিদ মিয়া বলেন, ভাঙাচুরা এ সড়কে গাড়ি নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়। প্রায় সময় গর্তে পড়ে গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের, শ্রীমঙ্গল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে আমাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার কাজ করা হবে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে আমরা অবহিত রয়েছি। ইতিমধ্যে রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাঠেও নেমেছে। এখন রাস্তায় সার্ভে কাজ চলছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা যাবে বলে জানান তিনি।