খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন দুই শিক্ষক। ইতিমধ্যে ভিসি’র কাছে তারা তাদের পদত্যাগপত্র জমাও দিয়েছেন। পদত্যাগ করা প্রভোস্টরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর কল্যাণ কুমার হালদার ও ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান।
এদিকে প্রভোস্টরা পদত্যাগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রভোস্ট সংকটের শঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ প্রফেসর সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর শিক্ষকরা কেউই প্রভোস্টের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর কল্যাণ কুমার হালদার ও ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগপত্র উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছেন। অপর চার হলের প্রভোস্ট ও সাত হলের সহকারী প্রভোস্টরা ৫ দফা দাবি পূরণ না হলে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কুয়েটের সাতটি হল পরিচালনা নিয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে।
হলের ডাইনিং ম্যানেজার নিয়োগ, খেলাধুলা, ফ্লোর মনিটরিং ও ইন্টারনেটসহ আরও কিছু বিষয় থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি হলের সিট বরাদ্দ নিয়ে সংগঠনটির মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে। এ নিয়ে প্রভোস্টদের মানসিক চাপে রাখা হয়, যার শিকার সেলিম হোসেন। প্রভোস্টরা জানান, তাদের পদত্যাগ-সহকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুরই প্রতিবাদ। তারা শিক্ষক সমিতির দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ৫ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন। কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ, প্রভোস্টদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগসহ বিভিন্ন দাবি তোলেন তারা। কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যপক ইসমাঈল সাইফুল্যাহ বলেন, বুধবার প্রভোস্টদের নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩০শে নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ৩টায় মারা যান কুয়েট শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন (৩৮)। এ ঘটনায় কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের নামে জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।