× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রেণিকক্ষ সংকটে ইবি’র নতুন ৯ বিভাগ

শিক্ষাঙ্গন

এম.বি রিয়াদ, ইবি থেকে
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, শুক্রবার, ৭:৫৭ অপরাহ্ন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া নতুন ৯ বিভাগে শ্রেণিকক্ষ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম। এদিকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির পর এই সংকট আরও তীব্র হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে একইসঙ্গে ৮টি ও পরের বছর আরও একটি বিভাগ চালু হয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন বিভাগ খোলা হলেও পূর্ণরূপে শ্রেণিকক্ষের বন্দোবস্ত হয়নি। শিক্ষক, ল্যাব, অফিস ও সেমিনার লাইব্রেরি সংকট নিয়েই চলছে বিভাগগুলো।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে চালু হওয়া নতুন দুই বিভাগের মধ্যে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির করিডোরে ক্লাস করছেন। অন্যদিকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে মার্কেটিং বিভাগ থেকে ধার করা একটি কক্ষে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নতুন দুটি বিভাগের মধ্যে ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেন রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে ইংরেজি বিভাগের একটি কক্ষে আর সমাজকল্যাণ বিভাগের ক্লাস হয় অনুষদ ভবনের একটি কক্ষে। আইন অনুষদভুক্ত ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের জন্য মীর মশাররফ হোসেন ভবনে অন্য বিভাগ থেকে নেয়া একটি কক্ষ রয়েছে।
মাঝেমধ্যে অনুষদ ভবনের একটি কক্ষে সমাজকল্যাণ বিভাগের সঙ্গে ভাগাভাগি করে চলছে বিভাগটির শিক্ষা কার্যক্রম। এছাড়া ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে চালু হওয়া চারুকলা বিভাগের কোনো শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ক্লাস চলে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগন হরকরা গ্যালারিতে। এসব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, তীব্র শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্সসমূহ শেষ করতে পারছে না। একটি কক্ষে তিন বর্ষের ক্লাস হওয়ায় রুটিন তৈরিতেও বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া এক বর্ষের ক্লাস শেষ হওয়ার অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম আদনান বলেন, চতুর্থ বর্ষে এসেও এখনো নিজেদের কোনো শ্রেণিকক্ষ পেলাম না, ক্লাস করার অপেক্ষায় বাইরে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী লাভলু বলেন, টিএসসিসির করিডোরে উচ্চ শব্দের মধ্যে ক্লাস করা খুবই কষ্টকর। এছাড়াও একেক সময় একেক ভবনে ক্লাস হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে মেগাপ্রকল্পের অধীন চলমান একাডেমিক ভবনগুলোর সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে সকল বিভাগের জন্য শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা হবে বলা হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলেও সংকট পুরোপুরি কাটবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। চারুকলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান বলেন, একটি কক্ষেই আমাদের পাঠদান করতে হচ্ছে। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কাছে প্রতিনিয়ত শ্রেণিকক্ষ বন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়ে আসছি। প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেগা প্রকল্পের অধীনে একাডেমিক ভবনগুলোর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ চলমান। খুব শিগগিরই সংকট কেটে যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর