× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ড. ফারজানা নাহিদ: নতুন প্রজন্মের আলোর পথযাত্রী

ষোলো আনা

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার

খুব কম সংখ্যক মানুষই পারেন কর্মজীবনের প্রতিটি অংশকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছুতে। ড. ফারজানা নাহিদ তেমনই একজন মানুষ। পেশায় শিক্ষক ড. নাহিদ কাজের প্রতি নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও সময় ব্যবস্থাপনা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।

ড. ফারজানা নাহিদ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগে গত চার বছর ধরে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্টার্টআপ নেক্সট (এনএসইউএসএন) এর পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন দুই বছর। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়মিত আন্ডার-গ্রাজুয়েট এবং গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদেরকে পেশাগত এবং ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে কাউন্সলিং এর মাধ্যমে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ড. ফারজানা বিশ্বাস করেন বাংলাদেশে প্রতিভার অভাব নেই, প্রয়োজন শুধু প্রতিভা খুঁজে বের করে এর পরিচর্যার মাধ্যমে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয়া। আর সেই বিশ্বাস থেকেই বাংলাদেশে তরুণ ও যুব সমাজের মধ্যে স্টার্টআপের সঠিক ধারণা প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করছেন একাগ্রচিত্তে।

বর্তমানে শিক্ষক হিসেবে সুনাম কুড়ালেও ড. নাহিদের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক বেশ পুরনো।
ছাত্রাবস্থাতেই ২০০৪ সালে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সংবাদ চ্যানেল এনটিভিতে। এখনও জ্যেষ্ঠ সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন এনটিভিতে। বাচনভঙ্গী, শব্দচয়ন এবং সংবাদ উপস্থাপনের স্বকীয়তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন সংবাদ পাঠিকার জায়গায়।

ড. নাহিদ কাজ করছেন বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচালিত সিটিআলো ওমেন এন্টারপ্রেনিয়োর সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামে মডিউল ডিজাইনার ও ট্রেইনার হিসেবে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উই কানেক্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে পেয়েছেন সফলতা। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নারী উদ্যোগ তার প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখেছে।

ড. নাহিদ মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালায়া থেকে বিজনেস হিস্টোরিতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষকতাকে পেশা হিসেব নেয়ার আগে তিনি রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও স্পার্কল ইন্টারন্যাশনালে মার্কেটিং বিভাগে আট বছর চাকুরি করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ড. নাহিদ নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে। তার গবেষণার প্রধান বিষয় বাংলাদেশের ফ্যামিলি বিজনেস এবং এন্টারপ্রেনিয়োরশিপ।

জার্নাল অব বিজনেস হিস্ট্রি ও জার্নাল অফ সাউথ এশিয়ান ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের ব্যবসা সম্পর্কিত তার গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে। ২০১৪ এর সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তার পাবলিকেশন, ‘ফ্যামিলি ফার্মস ইন বাংলাদেশঃ এন্টারপ্রেনিয়োরশিপ এন্ড স্টেট ইন্টারভেনশন’ সেরা পেপারের মর্যাদা লাভ করে। ২০১৩ সালের নভেম্বরে তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ মালায়া রিসার্চার্স কনফারেন্সে (ইউএমআরসি) ‘ফ্যামিলি ফার্মস ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে প্রশংসিত হন।

ড. নাহিদ ম্যানেজমেন্ট ও মার্কেটিং-এর বিশ্ববিখ্যাত কনফারেন্স বৃটিশ একাডেমি অব ম্যানেজমেন্ট, আমেরিকান মার্কেটিং আসোসিয়েশন এবং ইয়র্ক ম্যানেজমেন্ট স্কুলের আমন্ত্রণে পেপার প্রেজেন্ট করে বাংলাদেশের ব্যবসার প্রসার ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সবার নজর কেড়েছেন।

ড. নাহিদ তার ছাত্রছাত্রী ও তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে জ্ঞান বিজ্ঞানে অনন্য এক বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করতে চান। উদ্ভাবনী শক্তিকে হাতিয়ার করে নির্মাণ করতে চান আত্মনির্ভর ও সুসংগঠিত জাতি।

তিনি বলেন, যেকোন পেশাগত উন্নতির আগে ব্যক্তিগত ও মানসিক উন্নয়ন সবার আগে দরকার। স্বচ্ছ ও উন্নত চিন্তার মানুষই উন্নত জাতি গড়তে পারে। এছাড়াও তিনি বিশ্বাস করেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ালে তা দেশকে আরো এক ধাপ এগিয়ে দেবে।

প্রতিটা মানুষ স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সেই স্বপ্নকে হাতের নাগালে আনতে পারেন অল্প সংখ্যক মানুষ, আর সেই স্বপ্ন সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তারাই হন আলোর দিশারী। ড. ফারজানা নাহিদ তেমনই একজন আলোর পথযাত্রী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর