× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্পনির্ভর কার্যক্রম পরিকল্পিত নগরী গড়তে বাধা: তাপস

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, পিপিপি প্রকল্পসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্পনির্ভর কার্যক্রম পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলায় বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা অপরিকল্পিত এই শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। পরিকল্পিত রূপ দেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু অযাচিতভাবে, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিভিন্ন সংস্থা এখনো আগ্রাসন করে যাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ বলেন কিংবা পিপিপি প্রকল্পের নামে ঢাকা শহরে বিভিন্ন সংস্থা প্রকল্পনির্ভর কাজ করে আমাদের এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করছে।   
বুধবার নগরীর গুদারাঘাটস্থ ত্রিমোহনী ব্রিজ সংলগ্ন জিরানী খালের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বছর ঢাকাবাসী খাল থেকে বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রমের সুফল পেয়েছে উল্লেখ করে তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে গত বছর থেকে আমরা খালগুলো থেকে বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। এ বছরও যথারীতি আমরা সময়মতো শুরু করেছি। ইতিমধ্যে এ বছরও জিরানী খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি।

গত বছর যেসব স্থানে জলাবদ্ধতা হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে অবকাঠামো উন্নয়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে পোস্তগোলায় ৬ ফুট ব্যাসার্ধের পাইপ বসিয়েছি। সেটা হয়ে গেলে পোস্তগোলা, জুরাইন কবরস্থান পর্যন্ত পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের এসব অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। সুতরাং, ধীরে ধীরে অবশ্যই ঢাকাবাসী এর সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছে। তবে খাল নিয়ে আমরা যে প্রকল্পটা নিয়েছিলাম, সেটা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা আবারো মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য আমরা কাজ করছি।
দখলমুক্ত করা খাল আবারো দখল হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আজকে আমরা এসে দেখলাম যে, আবারো দখল হচ্ছে। এই দখল, আগ্রাসন থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমি অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখলাম। আবারো (জিরানী খালের উপর) কয়েকটা সেতু করা হয়েছে, দেয়াল করা হয়েছে। খালের জমির উপরে এগুলো করা হয়েছে। পানির উপরেই আবার দোকান করা হয়েছে। এগুলো আমরা আবারো অপসারণ করবো।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন,  দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমরা যেমনি খালগুলো দখলমুক্ত এবং সেগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ করেছি তেমনি স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা একটি প্রকল্পও হাতে নিয়েছি। কিন্তু সেই প্রকল্প পাস না হওয়া পর্যন্ত, প্রকল্পের কাজ আরম্ভ না করা পর্যন্ত আমরা কিন্তু স্থায়ী সমাধানে যেতে পারছি না। আমাদের কিন্তু প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। এ বছর আমরা যে আবারো পরিষ্কার করবো, এটা কিন্তু আমাদের জন্য বাড়তি ব্যয়। এজন্যই এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে চাই। আমরা আশাবাদী, সরকার এ প্রকল্পটি দ্রুত পাস করে দেবে। এর মাধ্যমে আমরা খালগুলোর পূর্ণ সংরক্ষণ এবং সেগুলো ঘিরে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবো। তাহলে আর এ অযাচিত দখল করতে পারবে না। না হলে প্রত্যেক বছরই আমাদেরকে এটা বার বার করতে হচ্ছে এবং এই দখলের আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে।
এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর