× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টিএসসি’র কাওয়ালি কনসার্টে ‘ছাত্রলীগ’-এর হামলা

শেষের পাতা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১২ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) পূর্ব নির্ধারিত কাওয়ালি কনসার্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ও দর্শনার্থী শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত কাওয়ালী সন্ধ্যা অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকে সবার মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ ছিল।
বিকালে কে বা কারা কাওয়ালী অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিঁড়ে ফেললে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেষ মুহূর্তে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান মাইক ও সাউন্ড বক্স সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা পরে একটি মাইক সংগ্রহ করে অনুষ্ঠান শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে অনুষ্ঠানের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেন বলেও জানা যায়। হামলায় আয়োজকদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আয়োজকদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী নেতাকর্মীরা এ হামলা চালান। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও হামলায় অংশ নেন বলে তারা জানান।
গত সপ্তাহে তারা টিএসসি’র পরিচালক আকবর হোসেনের অনুমতি নেন। এরপর তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। দিনের মধ্যে স্টেজের কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও বিকালে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বে থাকা একজন জানান, সাদ্দাম হোসেন তাকে নিষেধ করেছেন। পরে তারা অন্য জায়গা থেকে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করে আনেন। এর আগেই সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা এসে অনুষ্ঠানে হামলা করেন। এতে তাদের বেশ কয়েকজন আহত হন।
টিএসসি’র পরিচালক আকবরকে সাদ্দাম ফোন দিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলেছেন বলে আয়োজকরা অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার সাধারণ সম্পাদক মানবজমিনকে বলেন, ছাত্রলীগের হামলায় জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। অসৎ উদ্দেশ্যে এর সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম জাড়ানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠান আয়োজন না করতে কাউকে ফোন দেননি উল্লেখ করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা যতই হোক জেনেছি অনুষ্ঠানটি নিয়ে আয়োজকদের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব ছিল। অনুষ্ঠানটি শরীয়ত সম্মত হবে কি না, গান-বাজনা করা ইসলামে জায়েজ কিনা, মেয়েরা অনুষ্ঠানে থাকতে পারবে নাকি না এগুলো নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের মতবিরোধ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। সেখান থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
হামলার পরপরই এর প্রতিবাদে টিএসসি-ভিত্তিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, বাম সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলে শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর